spot_img

― Advertisement ―

spot_img

জলাতঙ্ক ভয় নয় , চাই সচেতনতা

মাহমুদুল হাসান, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ প্রতি বছর জলাতঙ্ক রোগ নির্মূলে এবং জলাতঙ্ক প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কৃত সাফল্যের স্মরণে পালন করা হয়। প্রথম জলাতঙ্কের টিকা তৈরি...
প্রচ্ছদসারা বাংলাপানিতে তলিয়েছে ফেনীসহ আশেপাশের উপজেলা, গৃহবন্দী লক্ষাধিক মানুষ

পানিতে তলিয়েছে ফেনীসহ আশেপাশের উপজেলা, গৃহবন্দী লক্ষাধিক মানুষ

মাহমুদুল হাসান, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ভারতের ত্রিপুরায় অবস্থিত ড’ম্বু’র হাইড্রইলেক্ট্রিক পাওয়ার প্রজেক্ট বা ড’ম্বু:র গেট খুলে দেয়া হয়েছে কারণ ত্রিপুরাতে ব্যা’প’ক ব’র্ষ’ণ হয়েছে ফলে ব:ন্যা দেখা দিয়েছে। পানি কমার জন্য তারা ড’ম্বু’র গে’ট খুলে দিয়েছে যা সর্বশেষ ১৯৯৩ সালে খু’লে দিয়েছিলো। এর ফলে বন্যায় পানিতে তলিয়েছে ফেনীসহ আশেপাশের উপজেলা গুলো জনগন পড়েছে দুর্ভোগে।

গত ২ আগস্ট মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৭টি অংশে ভাঙনের দেখা দিয়েছিল। গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুর থেকে আবারও ভাঙন স্থান দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। এ

তে পরশুরাম উপজেলার পশ্চিম অলকার মাস্টারবাড়ি সংলগ্ন মুহুরী নদীর বাঁধের ভাঙন অংশ, মির্জানগর ইউনিয়নের দক্ষিণ কাউতলি কাশিনগর ও চম্পকনগর এলাকায় বাঁধের দুইটি অংশ, চিথলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শালধর জহির চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন, দক্ষিণ শালধর, কহুয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের টেটেশ্বর ও সাতকুচিয়া এলাকার ভাঙন অংশ এবং পশ্চিম মির্জানগর এলাকার সিলোনিয়া নদীর বাঁধের ভাঙন অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে।কোমর সমান পানিতে তলিয়ে গেছে ফেনী সহ আশেপাশের উপজেলা, গৃহবন্দী রয়েছে লক্ষাধিক মানুষ ।

স্থানীয়রা বলছেন, বিগত সময়ের বন্যা চেয়ে এবার পানির স্রোত অনেক বেশি। এখনো পানি বাড়তেছে। এছাড়া ভারতের ত্রিপুরায় ডম্বুর গেট খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জেনেছি। এতে ফেনীতে পানির চাপ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

আরও পড়ুনঃ আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি র‍্যাব হেফাজতে

ফুলগাজীর বাসিন্দা রহমান উল্ল্যাহ বলেন, আমাদের ত্রাণের চেয়েও এখন নৌকা বেশি প্রয়োজন। বন্যা পরিস্থিতি এমন হবে বুঝতে পারিনি। পানি হঠাৎ বেড়ে গেছে, কোথাও যাওয়ার উপায় নাই।

ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া ভূঁইয়া বলেন, আমাদের উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে। বন্যাদুর্গত মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। পানি এখনো বাড়ছে।

ফেনী আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ফেনীতে টানা দুইদিন মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন জেলাজুড়ে বৃষ্টি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।