ওমর ফারুক জিলন, জবি প্রতিনিধিঃ আকস্মিক ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কুমিল্লা, ফেনী ও নোয়াখালীসহ কয়েকটি জেলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এমন অবস্থায় বন্যাকবলিত এলাকায় সহযোগিতার জন্য ত্রাণ সংগ্রহে গণত্রান টানা পঞ্চম দিনের মতো কর্মসূচি আয়োজন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার সরেজমিনে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ একডেমিক ভবনের নিচ তলায় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এখানে পৃথক পৃথক টেবিল বসানো হয়েছে। এদের মধ্যে কোনো টেবিলে শুকনা খাবার,আবার কোনো টেবিলে নগদ অর্থ সংগ্রহ, আবার কোনোটিতে কাপড় চোপড় সংগ্রহের বুথ বসানো হয়েছে ।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটে ত্রাণ সংগ্রহের জন্য বুথ বসতে দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অর্থ প্রদান করে এবং সকল বুথে পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা, সাধারণ মানুষ, ইসলামপুরের ব্যাবসায়ীদের নগদ অর্থ, শুকনো খাবার, স্যালাইন, ওষুধ, কাপড় দিতে দেখা যায়।
এদিকে নিজের ব্যক্তিগত জমানো টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বুথে জমা দিতে এসে শিশু রাইয়াত হোসেন বলেন, বন্যার্তদের জন্য প্লাস্টিকের ব্যাংকে জমানো টাকা দান করছি। এই টাকা দিয়ে যদি একজন বন্যাকবলিত মানুষেরও সাহায্য হয়, তাহলেই আমি খুশি।
আরেক শিশু জান্নাতুল আদানী বলেন, অনেক আগে থেকেই আমি ব্যাংকে কয়েন টাকাগুলো জমাচ্ছিলাম। সকালে মাকে বললাম, এই টাকাগুলো আমি বন্যা কবলিত অসহায় মানুষদের সাহায্যের জন্য দিয়ে আসতে চাই। এজন্য মায়ের সাথে এখানে টাকাগুলো দিতে আসলাম।
আরও পড়ুনঃ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গুম-নির্যাতনে ব্যবহার করে কলঙ্কিত করা হয়েছেঃ প্রধান উপদেষ্টা
গণত্রাণ কর্মসূচি সক্রিয় সদস্য সোহান প্রামাণিক বলেন, আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা উদ্যোগ নিয়েছি ত্রাণ সহায়তা করব সেই জায়গা থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পুরান ঢাকার মানুষজন এবং সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে সাড়া পেয়ে অর্থ উত্তোলন করে পাঁচটি জেলায় দশটি টিমের মাধ্যমে প্রতিদিন ট্রাকের মাধ্যমে খাদ্য পাঠিয়ে দিচ্ছি। এছাড়াও আমাদের পর্বরতী প্লান আছে উত্তোলনের টাকা পূণর্বাসন কেন্দ্রের জন্য পাঠাবো।
এদিকে রোববার রাত এগারোটা পর্যন্ত বন্যার্তদের সহযোগিতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ এবং কেন্দ্রীয়ভাবে প্রায় ৫৮ লক্ষ টাকা ফান্ড সংগ্রহীত হয়েছে। ত্রাণ সংগ্রহ এখনো চলমান রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগের ত্রাণ সংগ্রহের তথ্য কেন্দ্রীয় ফান্ড সংগ্রহ টীমের কাছে পৌঁছেনি। ফলে পরিপূর্ণ হিসাব দেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান, কেন্দ্রীয় ফান্ড সংগ্রহ টীমের সদস্যরা।