spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর নেতৃত্বে ন্যাশনস লিগ শিরোপা পর্তুগালের হাতে

স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে যুক্ত হলো আরও একটি গৌরবময় অধ্যায়। ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চ উয়েফা ন্যাশনস লিগে স্পেনকে রুদ্ধশ্বাস এক ফাইনালে হারিয়ে শিরোপা...
প্রচ্ছদসারা বাংলারায়পুরের পান চাষীদের মাথায় হাত

রায়পুরের পান চাষীদের মাথায় হাত

রুবেল গাজী, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে প্রায় ৬ শতাধিক পান চাষী মানবেতর জীবন যাপন করছে।

টানা বৃষ্টি এবং ভারত থেকে আশা উজানের পানি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সম্প্রতি ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে সৃষ্ট বন্যার কারণে রায়পুর উপজেলায় কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রায় কয়েক কোটি টাকার  ক্ষতি হয়েছে পান চাষিদের।

উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্রে জানা গেছে এ বছর রায়পুর উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২৩৬ হেক্টের জমিতে পান চাষ করা হয়েছে।

এর মধ্যে বেশিরভাগ পান চাষ হয় রায়পুর পশ্চিম অঞ্চল ১নং উত্তর চর আবাবিল , ২নং চর বংশী ও ৯নং দক্ষিণ চর আবাবিল ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি পান চাষ হয়।

গত বুধবার দুই ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, বরজগুলোর সবগুলো পান গাছই মৃত। একটি বরজে আবদুর রহিম (৩৬) নামের এক চাষি পচে যাওয়া পানের গাছ পরিষ্কার করছেন। তিনি বলেন, ১২ বছর ধরে ভ্যান চালিয়ে জমিয়েছেন ২ লাখ টাকা ও আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে ধার নিয়েছি ২ লাখ টাকা। মোট ৪ লাখ টাকা দিয়ে দুই বছর আগে ১৫ শতক জমিতে শুরু করেন পান চাষ। দুই ছেলেমেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে তাঁর সংসার ভালোই চলছিল। কিন্তুু এবারের বন্যায় পুরো বরজ পচে গেছে। আয়ের অন্য কোনো পথ নেই। নতুন করে আবার বরজ তৈরি করতে হবে।

এ গ্রামের সুফিয়া খাতুন (৪০) বলেন, পাঁচ বছর আগে তাঁর স্বামীর পা ভেঙে পঙ্গু হয়ে পড়েন। সংসারের দায়িত্ব আসে তাঁর কাঁধে। একমাত্র অবলম্বন ছিল ৬ শতক জমির একটি পানের বরজ। বন্যায় পুরো বরজই নষ্ট হয়ে গেছে। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সুফিয়া খাতুন।

তিনি আরও বলেন, বরজ তৈরি যেমন ব্যয়সাপেক্ষ, তেমনি সময়সাপেক্ষ। এক বিঘার একটি বরজ তৈরি করতে দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগে। এ সময় পানচাষিরা পরিবার নিয়ে কীভাবে চলবেন?

আরও পড়ুনঃ যুবদলে দুস্কৃতিকারীদের ঠাঁই নেইঃ আবদুল মোনায়েম মুন্না

উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের ঝাউডগী গ্রামের মোঃ আমির হোসেন (৩২) বলেন, ২০ শতাংশ জমি নিয়ে গত দুই বছর আগে পানের বরজটি তৈরি করেছিলাম। গত ১৩ দিন আগে পানের বরজে বন্যার পানি ঢুকেছে। পানি আর বের হয়নি। পানি থাকার কারণে গাছের গোড়া পচে পান বরজ পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে। এতে আমার কমপক্ষে ৫ লাখ টাকার পান নষ্ট হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাসান ইমাম বলেন উপজেলার ২৩৬ হেক্টর পান, ৩১৫০হেক্টর ধান এবং ৫ হেক্টর আগাম সবজি চাষ হয়েছে। নিম্নঅঞ্চল গুলো পানির নিচে তলিয়ে গেছে পান ও রোপা আমন ধান, আগাম সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমাদের উপকৃষি কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করছে। আগামী সাপ্তাহে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বীজ বিতরন করা হবে।