spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর নেতৃত্বে ন্যাশনস লিগ শিরোপা পর্তুগালের হাতে

স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে যুক্ত হলো আরও একটি গৌরবময় অধ্যায়। ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চ উয়েফা ন্যাশনস লিগে স্পেনকে রুদ্ধশ্বাস এক ফাইনালে হারিয়ে শিরোপা...
প্রচ্ছদসারা বাংলানীলফামারীতে এক স্কুলে একই পরিবারের সবাই শিক্ষক, স্কুল যেন ফ্যামিলি ক্লাব

নীলফামারীতে এক স্কুলে একই পরিবারের সবাই শিক্ষক, স্কুল যেন ফ্যামিলি ক্লাব

তপন দাস, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীতে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চরম অনিয়ম, দূর্নীতি, চরম অব্যস্হা পনা এবং স্কুলে একই পরিবারের সবাই শিক্ষক এবং তার নিকট আত্মীয় স্বজনের কারনে কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়েছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কিশোরগঞ্জ কিশামত বদি উচ্চ বিদ্যালয়।

দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে কিসামত বদি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্কুল টটিকে তার পরিবার থেকে শুরু করে আত্মীয় স্বজন দের নিয়ে বিদ্যালয়টি রুপান্তরিত করেছে একটি ফ্যামেলি স্কুলে এমন একটি নামের তালিকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় । এবং এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এর পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উঠে আসতে শুরু করে বিদ্যালয়টিতে চলা নানা ধরনের দূর্নীতি ও অনিয়মের খবর।

জানা যায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচণ্ডী ইউনিয়নের কবিরাজের বাজারে অবস্হিত কিশামত বদি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু করে আয়া পর্যন্ত সবাই একই পরিবারের এবং শুধু মাত্র ইসলাম ধর্ম শিক্ষার জন্য ইসলাম শিক্ষক প্রয়োজন হওয়ায় এই ইসলাম শিক্ষক ছাড়া বিদ্যালয়ের সবাই একই পরিবারের।

স্হানীয় সুত্রে জানা যায় নীলফামারী ৩ আসনের সাংসদ সদস্য তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সাংসদ অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা এবং বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমার ক্ষমতাড অপব্যবহার করে অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে এমন কাজটি করে বলে অভিযোগ উঠে।

বিদ্যালয়টি ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০০২ সালে এমপিও ভুক্ত হয়। এসময় বিদ্যালয়টির জমিদাতা কুলোদা রায়কে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি করে অনন্ত কুমার কে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।।

স্কুলের নিয়মনীতি কে তোয়াক্কা না করে স্কুল টিতে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য প্রধান শিক্ষক তার নিজের স্ত্রী , সন্তান , ভাইবোন, ভাইয়ের স্ত্রী বোনের স্বামী, কাকা কাকি, শ্যালক সহ নিকট তম আত্মীয় স্বজনদের নিয়োগ দেন।

পরে স্কুল টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কুলোদা মোহন রায়ের মৃত্যুর পর নিজের আধিপত্য ধরে রাখার জন্য মৃত কুলোদা মোহন রায় এর ছেলে বিমন চন্দ্র রায় কে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি করে । পরে দুজনে মিলে তাদের দুই পরিবারের সদস্যদের সেই স্কুলে নিয়োগ দেন ।

বর্তমানে সেই বিদ্যালয়টিতে কর্মরত আছেন ১৮ জন । এর মধ্যে একজন ইসলাম শিক্ষক ছাড়া সবাই সনাতন ধর্মাবলম্বী আর একই পরিবারের ১২ জন শিক্ষক আছে সেই বিদ্যালয়ে।

এবিষয়ে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমার রায় কে পাওয়া না গেলে তার সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং অনন্ত কুমার রায় এর সহধর্মিণী ববিতা রানী রায় বিষয় টি স্বীকার করে বলেন আমার স্বামী এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং আমাদের পরিবারের ১২ জন সদস্য এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ।

আরও পড়ুনঃ বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘শহীদি মার্চ’

এছাড়া ও প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমার রায় এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে ও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এদিকে কিশোরগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফ – উজ- জামান সরকার বলেন আমি এখানে নতুন এসেছি তাই এবিষয়ে আমার কিছু জানা নেই তাই কিছু বলতে পারছি না তবে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমি দেখেছি।

এছাড়াও কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী হক বলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল শিক্ষকদের নামের তালিকা দেখে সেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে ডেকেছি এবং এবিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্হা নেয়া হবে ।

এদিকে নীলফামারী ৩ আসনের সাংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে ও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি