
মোঃ এমরুল ইসলাম, নরসিংদী জেলা প্রতিনিধিঃ ভোগান্তির আরেক নাম হিসাবে পূর্ব থেকেই পরিচিতি রয়েছে পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ জেলাধীন বাজিতপুর উপজেলার ভাগলপুরে অবস্থিত জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। যে হাসপাতালে দিন দিন রোগীদের ভোগান্তি বেড়ে চলছে।
সোমবার( ৯ সেপ্টেম্বর)সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,টিকেট কাউন্টারে রোগীদের ভীড়।কয়েকজন রোগীর সাথে কথা বলতে গেলে তারা জানান,এ হাসপাতালের বহিঃ বিভাগের রোগীদের ভোগান্তির শেষ নেই।আমরা অনেক কষ্ট করে দূর-দুরান্ত থেকে ভালো চিকিৎসার জন্য এখানে আসি।
চিকিৎসা সেবা ভালো থাকলেও সমস্যা হচ্ছে পরীক্ষা-নীরিক্ষার রিপোর্টের কালক্ষেপন করা।
নরসিংদীর বেলাব থেকে আসা এক রোগী বলেন,আমি খেটে খাওয়া মানুষ।গতকাল আমি এসে ডাক্তার দেখিয়েছি।আজ আবার রিপোর্টের জন্য আসতে হয়েছে।আমি রোজ আনি,রোজ খায়। দুইদিন ধরে আমার রোজগার বন্ধ। অথচ তারা এ রিপোর্টটি কালকেই দিতে পারতো।
নরসিংদীর মনোহরদী থেকে রোগী নিয়ে আসা আরেক ভুক্তভোগী জানান,আমি ভাগলপুর হাসপাতালের নিয়মিত ভাবে আমি ও আমার ঘনিষ্টজনদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসি। কিন্তু দুঃখের বিষয় দিনকাদিন এখানে বহিঃবিভাগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা রিপোর্টের কালক্ষেপনসহ নানা ভোগান্তি বেড়েই চলছে।
আরও পড়ুনঃ ৩বছরের মেয়ে সুকুমার রায়ের কবিতা আবৃত্তি করে ভাইরাল
আরও বলেন, যেখানে কিছুদিন আগেও অধ্যাপক,সহযোগী অধ্যাপকদের ভিজিট ছিল ১৬০ টাকা,তা বৃদ্ধি করে এখন অধ্যাপকের ভিজিট-২৫০ এবং সহকারী অধ্যাপকের ভিজিট-২০০ টাকা করা হয়েছে। আগে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া দিনের রিপোর্ট দিনেই পাওয়া যেত। কিন্তু এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্টগুলো পরের দিন দেওয়া হয়।যার ফলে রোগীদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এ ব্যাপারে হাসপাতাল কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে কোন অবস্থাতেই তাঁদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এমতাবস্থায় রোগীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা,স্বাস্থ্য উপদেষ্টা,সিভিল সার্জন কিশোরগঞ্জ সহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।