
মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ বলেছেন, ছাত্র জনতার বিপ্লবের পর জনগণের সমর্থন ও সহযোগিতা দরকার। বিশেষ করে অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে গার্মেন্টগুলোকে সচল রাখতে হবে। আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রেও সব রাজনৈতিক দল ও দেশপ্রেমিক মানুষ সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ব গনতন্ত্র দিবস উপলক্ষে কেন্দ্র ঘোষিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির শোভাযাত্রা কর্মসূচী সফল করার লক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আগামী রবিবার বিশ্ব গনতন্ত্র দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির গনতন্ত্রের শোভাযাত্রা সফল করার আহবান জানান।
তিনি আরও বলেন, দেশে এখন বড় রকমের ক্রান্তিকাল যাচ্ছে। একসঙ্গে কাজ করতে পারলে বিপ্লবের যে লক্ষ্য তা ধরে রাখা যাবে। ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বেশি। সাধারণত এ দেশের মিডিয়া খুব ভালো ভূমিকা পালন করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক কিছু মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হয় উদ্দেশ্যমূলকভাবে। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার জন্য একটি চক্র অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে। একইসময়ে শিল্প ক্ষেত্রে একটা অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। তাই চট্টগ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে এই চক্রান্ত রুখে দিতে হবে।
এতে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।
এরশাদ উল্লাহ বলেন, বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। তাই চট্টগ্রামের এই গণতন্ত্রের শোভাযাত্রাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি চট্টগ্রাম মহানগরীর ৪৩ টি ওয়ার্ড ও ১৫ টি থানা থেকে মিছিল নিয়ে দুপুর ২ টায় ওয়াসা মোড়স্থ জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদের সামনে উপস্থিত হওয়ার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
এসময় নাজিমুর রহমান বলেন, দেশ ও জনগণের অধিকার ফেরাতে গত ১৫ বছর বিএনপির আন্দোলনের ধারাবাহিকতাতেই ছাত্র জনতার আন্দোলনে দেশ আজ ফ্যাসিস্ট মুক্ত। দেশে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে তা ধরে রাখতে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ছাত্র জনতার আকাঙ্খা অনুযায়ী এই রাষ্ট্র হবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। অন্য কেউ অন্য কিছু যদি চিন্তা করেন বাংলাদেশে, সেটা বাংলাদেশের মানুষ হতে দেবে না। আমাদেরকে জনগণের মনের ভাষা বোঝে রাজনীতিতে টিকে থাকতে হবে।
এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি নেতা আলহাজ্ব এম এ আজিজ, এড. আবদুস সাত্তার, এস কে খোদা তোতন, জয়নাল আবেদীন জিয়া, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, এস এম আবুল ফয়েজ, এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাশেম, মন্জুর আলম মন্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. কামরুল ইসলাম।
আরও পড়ুনঃ হালুয়াঘাটের ধারা বাজারে জশনে জুলুশ এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল
মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দীন, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, হাজী হানিফ সওদাগর, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, জসিম উদ্দিন জিয়া, মনির আহম্মেদ চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম, গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া, কাওসার হোসেন বাবু, কেন্দ্রীয় জাসাসের সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন, মহানগর জাসাসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু, সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ শিপন, তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব এড. আবদুল আজিজ, ওলামা দলের সদস্য সচিব হাফেজ জয়নাল আবেদীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ সহ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।