রিটন কুমার নাথ,বান্দরবান জেলা প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান হলো এদেশের লোক গানের মধ্যে সবচেয়ে বেশী জীবন ঘনিষ্ঠ-কথা ও সুরে উঠে আসে সংস্কৃতি, পারস্পরিক মায়া-মমতা বন্ধুর লাগি বন্ধুর অকৃত্রিম প্রেমটান আকুতি।
হাসি কান্না মান অভিমানের এ গান হাজার বছর ধরে নিটোল বিনোদনের তুঙ্গে রেখেছে আমাদের চট্রলাবাসীকে। মধ্যযুগের সেই পুঁথি,পদ্মাবতী থেকে চলে আসছে এই গান, যা বাংলা গানের সমবয়সী বলেও ধারণা করা হয়।
'রসর হতা হই হই হদিন ঘুরাইবা, হতা দ না আঁরে তুঁই দাগা ন' দিবা'
এমনি সহজ সরল কথাবার্তা আর নিখুঁত আবেদন যে কারো মন ছুঁয়ে যাবে-পাষাণ ঘেমে নামবে দরদ আর নরম নরম আবেগ। সিরাজুল ইসলাম আজাদ সাহেবের হেড মাষ্টার গানের অনবদ্য কথা,মানুষের অন্তর ছুঁয়ে গেছে। এরপর আজাদ সাহেবের।
আরেকটা প্রাণকাড়া প্রেম বিরহের গানঃ 'আইজকাল আই আইলে এনকা গর, আগর ডইল্লা দেইন নো ফার,আই তো বুঝির বেয়াগ্গিন.., মানা গইল্লে আর নো আইস্সুম হন দিন হন দিন'
আরও পড়ুনঃ নানা সংকট ও গ্রুপিংয়ে জর্জরিত শ্রমিক দল, সংকট কাটাতে বিভিন্ন উদ্যোগ
আফসোস, চট্রগ্রামের কিছু অশিক্ষিত মূর্খ্য সংস্কৃতিহীন গায়ক নামের কলংক এই আঞ্চলিক গানকে কলুষিত করে চলেছে তাদের চটুল উপস্থাপন আর নোংরা কথাবার্তায়।
পরকীয়ার পাশাপাশি শরীরী আবেদন নিম্নমানের কাহিনির আলোকে এই গানের পরিবেশন আমাদের চট্রগ্রামের সুস্থ বিনোদন, সমাজব্যবস্থা আর ধর্মীয় মূল্যবোধে মারাত্মকভাবে আঘাত করছে। অন্যদিকে আশার কথা হচ্ছে- ইদানীংকালের কিছু ভাল রুচিশীল কন্ঠ শিল্পী চট্রগ্রামের গানকে তাদের গলায় তুলে আমাদের চমকৃত করেছেন।
তাদের মধ্যে মিটন কুমার নাথ বান্দরবানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, মঞ্চে আঞ্চলিক গান ভক্তদের উপহার দিয়ে আসছেন। তাছাড়া মিটন বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সাথে জড়িত আছেন।
মিটন কুমার নাথ জন্ম গ্রহন করেন বান্দরবান জেলার অন্তর্গত পশ্চিম বালাঘাটা ১ নং ওয়ার্ডে। পিতা প্রফুল্ল কুমার নাথ, ও মাতা সরস্বতী রানী নাথ।