মোঃ আবদুর রহিম, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ একমাত্র নারী গরু বেপারী, ছোটকাল থেকে পশুপাখির প্রতি ভালোবাসা সালমা খাতুনের। সেই ভালোবাসা থেকে পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে শখের বসে পুষতে শুরু করেন গরু। এরপর একে একে ৩০টি গরু নিয়ে শুরু হয় তাঁর খামারের যাত্রা। এখন একজন সফল খামারি সালমা খাতুন। দুটি খামারের মালিক তিনি। পাশাপাশি চাঁপাইনবাবগঞ্জ কলেজ থেকে দর্শনে স্নাতক করেছেন। রাজশাহী কলেজ থেকে করেছেন স্নাতকোত্তর।
পড়াশোনা শেষে ২০১৬ সালে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন। কিন্তু করোনা মহামারি সেই চাকরিও কেড়ে নেয়। সঙ্গে ছিল নানা পারিবারিক টানাপোড়েনও। আর দশজন ছেলে-মেয়ের মতো স্নাতকোত্তর পাস করে গতানুগতিক পেশার প্রতি ছুঁটেননি সালমা। বেছে নিয়েছেন বিভিন্ন পথ।
চট্টগ্রাম নগরের বিবিরহাট বাজারে এবারের কোরবানির হাটে তাঁর খামারের ১৪টি গরু বিক্রির জন্য এনেছেন সালমা। হাজারো পুরুষ-বিক্রেতার ভিড়ে একমাত্র নারী বিক্রেতা তিনি।
কোরবানির হাটে নারী বিক্রেতা হিসেবে কোনো সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন কীনা জানতে চাইলে সালমা বলেন, ‘হালকা সমস্যা হতেই পারে। এগুলো গায়ে মাখতে নেই। সব বাধা-বিপত্তি এড়িয়ে এগিয়ে যেতেই হবে লক্ষপানে। তবেই নারীশক্তির বিজয়।’
খামার শুরুর গল্প জানতে চাইলে সালমা খাতুন বলেন, ‘আমার ছোটকাল থেকে পশুপাখির প্রতি ঝোঁকটা বেশি। পড়াশোনা শেষ করে শখ করে একটি গরু কিনি। এরপর ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে দুটি খামার করি। ৩০টি গাভী লালন পালন শুরু করি।’
আরও পড়ুনঃ লামাকাজী থেকে দশগ্রাম বাজারের একমাত্র রাস্তার বেহাল দশা, ভোগান্তিতে জনগন
তিনি বলেন, ‘কোনো কাজকে ছোট মনে করা উচিত না। যত বড় বড় ব্যবসায়ী ওনারা ছোট থেকে বড় হয়েছেন। ছোট থেকেই মানুষ বড় হয়।’
‘টুকটাক বাধা বিপত্তি থাকবে, তবে নারীরা চাইলেই খামারি হতে পারে। এটা তেমন কঠিন নয়। সব কাজই তো কষ্টের, সফলতা পেলে সব কষ্ট মুছে যায়।’— বলেন তিনি।
সালমা খাতুন বলেন, ‘২০২৩ সালের দিকে আমার একটু লোকসান হয়েছে। এখন ১৪টা গরু আছে। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি।’