মো: মামুনুর রশিদ, আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধিঃ নতুন বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন আনা প্রাাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন এখন সময়ের দাবী। এরই ধারাবাহিকতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা তাদের ন্যায্য অধিকার বেতন কাঠামো ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার লক্ষ্যে এক দফা দাবিতে আমতলী উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
শনিবার সকালে বরগুনার আমতলী উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের অংশগ্রহণে উপজেলা পরিষদের সামনে মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে আমতলী উপজেলা সমন্বয় কমিটির আহবায়ক মো. সহিদুল ইসলাম ঝন্টু সভাপতিত্ব করেন। মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি একেএম জিল্লুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আখতারুজ্জামান জাকির খান, আমতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ রবিউল আলম। আমতলী উপজেলা গ্রেড সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব মো. জাহিদুল ইসলাম লিটনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আমতলী বন্দর মডেল সরকারী প্রাথমিকবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন খান, চুনাখালী বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ারুল কবির।
আরও পড়ুনঃ বৈষম্যের শিকার ৬৭২ জন শূন্য ক্যাডার পদে নিয়োগের দাবি
আরও ছিলেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতি আমতলী উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ লোকমান হাকিম, শিক্ষক খাদিজা বেগম, রেজাউল করিম রেজা, মো. মামুনুর রশীদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সায়মা আক্তার,দীপংকর কান্তি, খলিলুর রহমান, নারগিস পারভীন, মাসুম বিল্লাহ রুবেল,মো. তহসিল আকন, সোনিয়া আক্তার, মাকসুদা শিল্পী, ফেরদৌস আলম রাসেল এছাড়াও উপজেলার কয়েক শত শিক্ষক অংশ গ্রহন করেন।
শিক্ষকদের দাবির যৌক্তিকতার প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা এখন সময়ের দাবী। ৮ম শ্রেণী পাশ একজন সরকারী ড্রাইভার পান ১২তম গ্রেডে বেতন অথচ যেখানে স্নাতক পাস একজন প্রাথমিক শিক্ষক পান ১৩ তম গ্রেডে বেতন। এমন বৈষম্যের অবসান চান আন্দোলনরত শিক্ষকবৃন্দ।তারা অবিলম্বে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার দাবী জানান প্রশাসনসহ বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে।