spot_img

― Advertisement ―

spot_img

রাজশাহীতে সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা

মোঃ আব্দুল আলিম, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মানবিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে রাজশাহীতে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল ৯টা থেকে...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গন'ছাত্রলীগ এখন ইসকন রূপে বাংলাদেশে ফিরে এসেছে'

‘ছাত্রলীগ এখন ইসকন রূপে বাংলাদেশে ফিরে এসেছে’

মোঃ আব্দুল আলিম, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠনের আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক মোঃ শফিউল্লাহ বলেছেন, “ছাত্রলীগ এখন ইসকন রূপে বাংলাদেশে ফিরে এসেছে। এই শহীদের মাটিতে কোনো রকম সন্ত্রাসী সংগঠনের ঠাঁই দেওয়া যাবে না। জুলাই গণহত্যার মাধ্যমে জাতি দেখিয়ে দিয়েছে যে দেশে কখনো ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারী শাসন চলতে দেওয়া যাবে না।”

বুধবার (২৭ নভেম্বর) নগরীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবির কর্তৃক আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ গঠনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “শহীদদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে বলতে চাই, ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্ররাজনীতি উন্মুক্ত করে দিতে হবে। বাংলাদেশের প্রতিটি ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ গঠনের ব্যবস্থা করতে হবে।”

মোঃ শফিউল্লাহ আরও বলেন, “যারা সঠিক ছাত্ররাজনীতি করবে, তাদের ক্যাম্পাসে মুক্তভাবে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যাতে সেখানে কোনো ইভটিজিং থাকবে না, কোনো মাদক থাকবে না, কোনো অন্যায়-অবিচার থাকবে না।”

তিনি আরও বলেন, “শাপলা চত্বর থেকে শুরু করে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সকল গণঅভ্যুত্থান সরকারকে হার মানতে বাধ্য করেছে। সেই আন্দোলনে সাকিব আনজুম থেকে শুরু করে শহীদ আলী রায়হান, মুগ্ধ, আবু সাঈদসহ অসংখ্য মুসলমানের রক্ত ঝরেছে। এর আগে বিডিআর হত্যাকাণ্ডসহ যত গণহত্যা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার, তার চেয়ে ২০২৪ সালের গণহত্যা আরও ভয়াবহ। বিগত বছরগুলোর প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের বাংলার মাটিতে এক ইঞ্চি জায়গাও দেওয়া হবে না।”

শিবিরের এই নেতা বলেন, “এই দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে ২৪ জুলাইয়ের সকল শহীদের জন্য। শাপলা চত্বরে গণহত্যা, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, ২০২৪ সালের গণহত্যাসহ সকল গুম-খুনের সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।”

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় এইচআরএম সম্পাদক সাইদুর রহমান, রাজশাহী জেলা পশ্চিম শাখার সভাপতি মোঃ রমজান আলী, রাজশাহী জেলা পূর্ব শাখার সভাপতি মোঃ রুবেল হোসেন, রাজশাহী মহানগর সভাপতি মোঃ সিফাত আলম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবির সভাপতি আব্দুল মোহায়মিন এবং মহানগর সেক্রেটারি মোঃ শামীম উদ্দীন প্রমুখ।

আরও পড়ুনঃ এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থায়ীভাবে বাতিলের দাবি

বক্তারা বলেন, “আগামীতে রাজশাহীর মাটিতে কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি ও তার দোসরদের জায়গা হবে না। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ যেন কোনোভাবেই মাথাচাড়া দিয়ে বাংলা জমিনে অরাজকতা করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। জুলাইয়ের গণহত্যার তিন মাস পার হলেও এখনো খুনিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। যারা আমাদের ভাইদের হত্যা করেছে, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”

তারা আরও বলেন, “আমরা একাত্তরের গণহত্যা দেখিনি, কিন্তু জুলাইয়ের গণহত্যা দেখেছি। একাত্তরে শুনিনি হেলিকপ্টারে গুলি চালাতে, কিন্তু জুলাইয়ের গণহত্যায় পুলিশ হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালিয়েছে। হাজার হাজার ছাত্র ও জনতাকে হত্যা করেছে। আমরা আর এই বাংলার জমিনে কোনো গণহত্যা দেখতে চাই না। আমরা চাই একটি স্বাধীন দেশ, স্বাধীন ক্যাম্পাস।”

সমাবেশের আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়, যা নগরীর রেলগেট থেকে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জিরো পয়েন্টে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।