মোঃ আব্দুল আলিম, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর দারুস সালাম কামিল মাদ্রাসায় বহিরাগতদের সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকেরা আহত হয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আহমদ শরীফের মাধ্যমে ঘটনাটি শুরু হয়। তিনি মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করে অশালীন ভাষায় কথা বলেন এবং একপর্যায়ে শিক্ষক মো. শাকিল হোসেনকে চড় মারেন ও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানায়।
পরবর্তীতে আহমদ শরীফ ২০-৩০ জন বহিরাগত লোক নিয়ে মাদ্রাসায় প্রবেশ করেন। তারা ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের ওপর হামলা চালায়। শিক্ষার্থীদের ভাষ্যমতে, প্রথমে ছেলেদের মারধর করা হয় এবং এরপর ছাত্রীদের গায়ে হাত তোলা হয়। শিক্ষকদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরও আক্রমণ করা হয়। এ ঘটনার সময় ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হন।
আহত শিক্ষক মো. শাকিল হোসেন বলেন, “আমি আহমদ শরীফকে ভদ্রভাবে কথা বলতে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি আমাকে চড় মেরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন।”
আহমদ শরীফের স্ত্রী জানান, “আমার স্বামী মানসিকভাবে অসুস্থ এবং ঠিকমতো ওষুধ খাচ্ছেন না। তিনি এখন আমাদের সাথে না থেকে তার মায়ের কাছে থাকছেন। আমি এ ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানি না।”
আরও পড়ুনঃ ইবতেদায়ী শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মো. জাকির হোসেন বলেন, “ঘটনার পর স্থানীয়দের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। অভিযুক্তরা আমাদের শিক্ষকদের হাত ধরে ভুল স্বীকার করেছেন এবং ভবিষ্যতে এমন কিছু হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন।”
রাজপাড়া থানার ওসি আশরাফুল আলম বলেন, “ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। এখনো কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
এই হামলার ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।