spot_img

― Advertisement ―

spot_img

রামগঞ্জে দৈনিক “আমার দেশ” না আসায় পাঠকদের হতাশা

মো. মাসুদ রানা মনি, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর বহুল প্রতীক্ষিত জনপ্রিয় পত্রিকা "দৈনিক আমার দেশ" প্রকাশিত হলেও লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলায়...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসভর্তি ফি বৃদ্ধিতে জাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল 

ভর্তি ফি বৃদ্ধিতে জাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল 

 মোঃ আবু বকর সিদ্দিক,জাবি প্রতিনিধি:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৩-২৪  শিক্ষাবর্ষে ভর্তি ফি বেড়েছে। নতুন করে শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি (এককালিন) ৬ হাজার টাকা সহ মোট ১৪ হাজার ১৮৯ টাকা ভর্তি ফি নির্ধারণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।ভর্তি ফি বৃদ্ধিতে জাবি শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ। গত তিন বছরে শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফি ছিল ৬ হাজার ৩৮৫ টাকা৷ ভর্তি ফি থেকে শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল।

বৃহস্পতিবার(১৪ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’৷ পরে বেশ কয়েকটি সড়ক ঘুরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে আন্দোলনকারীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সর্বশেষ ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভাগ উন্নয়ন ফি বাবদ ছয় হাজার টাকা নেওয়া হয়েছিল। পরে ২০১৯ সালে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভাগ উন্নয়ন ফি বাতিল করে।

এর পর ২০১৯-২০, ২০২০-২১ ও ২০২১-২২, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তি হওয়ার সময় আলাদা করে কোনো ফি দিতে হয়নি৷  তবে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে নতুন করে করে যুক্ত করা হয়েছে শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি। 

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হলে বিভাগগুলোর উপর দায় চাপিয়েছেন তারা। বিভাগগুলোর চাপে ভর্তিতে শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি নামে নতুন করে উন্নয়ন ফি চালু করা হয়েছে বলে জানান তারা৷ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা বলেন, “আমরা গত ৩ বছর ধরে ভর্তি পরীক্ষার টাকা দিয়ে বিভাগগুলোর উন্নয়ন ফি দিয়ে দিতাম। কিন্তু এখন ইউজিসি নতুন নিয়ম করেছে যে, ভর্তি পরীক্ষার ৪০% টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ডে রাখতে হবে। যার ফলে বাকি ৬০% টাকা দিয়ে বিভাগগুলোর উন্নয়ন ফি দেওয়া সম্ভব না। একারণে আমরা এবছর থেকে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এককালীন ৬০০০ টাকা করে নিচ্ছি শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি হিসেবে। “

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নূর তামিম স্রোতের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি স্মরণ এহসান বলেন, ‘প্রশাসন নতুন বোতলে পুরাতন মদকে আমদানি করার চেষ্টা করছে। যে বিভাগ উন্নয়ন ফি আন্দোলনের মাধ্যমে বাতিল করা হয়েছিল, সেটাই এখন শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি নামে চালু করতে চাচ্ছে প্রশাসন।’ 

ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলি বলেন,’দেশে যে তালবাহানা চলছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও সেগুলো দেখে শিখছে। সরকার যেরকম ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের পরিবর্তে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট তৈরি করেছে,  বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও তেমনি বিভাগ উন্নয়ন ফি এর পরিবর্তে শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি চালু করছে।