spot_img

― Advertisement ―

spot_img

পাঁচবিবিতে ঈদে অনন্য দৃষ্টান্ত: ২ হাজার পরিবারে মাংস বিতরণ ছাত্রনেতা শামীমের

আল আমিন, জয়পুরহাট প্রতিনিধি: ঈদুল আজহার ত্যাগ ও মানবিকতার চেতনা বাস্তবে রূপ দিতে জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ব্যতিক্রমী এক উদাহরণ স্থাপন করেছেন ছাত্রদলের সাবেক নেতা শামীম...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসজাবির পরবর্তী প্রক্টরের দৌড়ে এগিয়ে কে?

জাবির পরবর্তী প্রক্টরের দৌড়ে এগিয়ে কে?

জাবি প্রতিনিধি :

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে গত ১৩ মার্চ প্রক্টর পদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ উল হাসান। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো সুনির্দিষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

সূত্রটি জানিয়েছে, সদ্য সাবেক প্রক্টরের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে আজ থেকে (১৮ মার্চ) তাকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী প্রক্টর হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং শহীদ তাজউদ্দীন হলের প্রভোস্ট আলমগীর কবিরকে প্রক্টরের সাময়িক দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত করা হয়েছে।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষনের ঘটনায় গড়ে ওঠা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম ‘ নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ’ ওই ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার দায়ে  প্রক্টর ও প্রভোস্টের পদত্যাগসহ পাঁচদফা দাবিতে প্রায় একমাসেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ মার্চ অনির্দিষ্ট কালের জন্য প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন তারা।

সর্বশেষ অবরোধের তৃতীয় দিন ( ১৩ মার্চ) উপচার্যের আশ্বাসে অবরোধ স্থগিত করেন তারা। সেদিন উপাচার্য আন্দোলনকারীদের সাথে আলাপকালে আশ্বাস প্রদান করে বলেন, প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান ও প্রাধ্যাক্ষ অধ্যাপক ড. সাব্বির আলম স্বেচ্ছায় ১৭ মার্চের মধ্যে পদত্যাগ করবেন। যদি পদত্যাগ না করেন তাহলে ১৮ মার্চের মধ্যে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।

প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান ২০০৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সময় ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর সহকারী প্রক্টর ও ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরের দায়িত্ব পান আ স ম ফিরোজ। এরপর ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর স্থায়ী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।

এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠিত নানা ইস্যুতে অভিযুক্ত হন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ধামাচাপা দেওয়া, দোষীদের বাঁচাতে লেজুড়বৃত্তি, নিয়োগ বাণিজ্য, মাদক সিন্ডিকেটে সহায়তা, ছাত্র-শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বে অবহেলা, ধর্ষকদের পালাতে সহযোগিতা করা,  মেয়াদ উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করার বিষয়ে কার্যকরি ভূমিকা পালন না করাসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত তিনি।