spot_img

― Advertisement ―

spot_img

জবি ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণায় নিরাপত্তাহীনতায় শিক্ষার্থীরা, দুই সংগঠনের নিন্দা

ওমর ফারুক জিলন, জবি প্রতিনিধিঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ছাত্রদলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয়...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসজবি শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ভিক্টর ক্লাসিকের ১২বাস আটক 

জবি শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ভিক্টর ক্লাসিকের ১২বাস আটক 

ওমর ফারুক জিলন, জবি প্রতিনিধিঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি ও অসদাচরণের অভিযোগে রাজধানীর সদরঘাট টু গাজীপুর রুটে চলাচলকারী ভিক্টর ক্লাসিকের ১২টি বাস আটকে রেখেছে শিক্ষার্থীরা। 

(শনিবার) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বাসগুলো আটক করে রাখেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের এক নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করেছে একটি বাসের চালক ও হেলপার। এই প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা কয়েকটি বাস আটক করে রেখেছে। আমরা বিষয়টি সুরাহা জন্য বাসের মালিককে আসতে বলেছি। তাঁরা এখনো আসেনি। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আরও বলেন, ভুক্তভোগী ওই নারী শিক্ষার্থী মৌখিকভাবে আমাদের একটি অভিযোগ জানিয়েছে। লিখিতভাবেও সেই একটি অভিযোগ দিবে বলেছে। দুই পক্ষের কথা শুনে আমরা বিষয়টি সুরাহা করব। সমাধান না হাওয়া পর্যন্ত বাসগুলো এভাবে আটক থাকবে।

যদিও এ বিষয়ে ভিক্টর ক্লাসিক বাসের মালিক পক্ষের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

এ-র আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক স্ট্যাটাসে  ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী অভিযোগ করে লিখেন, গত ১৪ অক্টোবর রাজধানীর নতুন বাজার থেকে সদরঘাটের উদ্দেশ্যে আমি এবং আমার ছোট বোন ভিক্টর ক্লাসিকের একটি বাসে উঠি। এরপর হেল্পার ভাড়া চাইতে আসলে আমি ৩০+৩০= ৬০ টাকা দিই। তখন হেল্পার বলে বাস গুলিস্তান পর্যন্ত যাবে। তখন আমি বললাম তাহলে ২০ টাকা ফেরত দেন কিন্তু সেই দেয়নি। 

আরও পড়ুনঃ রাজশাহীতে সড়ক পরিবহন গ্রুপ দখল নিয়ে দুই পক্ষের লীলাখেলা 

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী অভিযোগ করে আরও লিখেন, ‘এরপর আমি তাঁকে বললাম, আমি স্টুডেন্ট হাফ ভাড়া কাটেন কাটেন কিন্তু সেই বলল, আমাদের বাসে কোনো হাফ ভাড়া নেই।’ আমি তাঁকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট পরিচয় দেয়ার পরে এবার সেই আরও খারাপ আচরণ শুরু করেছে। আমি তখন বললাম, ‘ আমার গুলিস্তান থেকে আরও২০ টাকা ভাড়া লাগবে অন্য বাসে গেলে তাহলে আপনি একটি বাসে তুলে দিন। এটা বলার পরে সেই আর চালক বলল,’ এরা বেশি ঝামেলা করে এখানে ধইরা নামায় দে’। 

ওই শিক্ষার্থী লিখেন, এরপরও আমি চিল্লাচিল্লি করলে  বাসের অন্য যাত্রীরাও বলে তাঁর হাফ ভাড়া কাট নতুবা বাকি টাকা ফেরত দে। একপর্যায়ে সে বাধ্য হয়ে আমাকে ২০ টাকা ফেরত দিয়েছে। তাহলে আমি স্টুডেন্ট পরীক্ষা দেওয়ার পরও কেন এমন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।