তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ মুক্তিকামী ফিলিস্তিনের জন্য আর্থিকভাবে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। দখলদার ইসরাইলের হামলায় হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর গায়েবানা জানাজা আগে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় তিনি আরো বলেন, "যে তামান্না নিয়ে ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী জনতা যুদ্ধ করছে সার্বিক সহযোগিতা এবং আমাদের হৃদয়ের ঐক্য তাদের সাথে আছে। আমরা ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী জনগণের সাথে আছি। শুধুমাত্র সুদূর ফিলিস্তিনের জন্য না বরং সারা বিশ্বের নির্যাতিত মানবতার পক্ষে আমাদের কন্ঠ সবসময় উচ্চারিত থাকবে। আমরা ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষের জন্য আর্থিকভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা পাশে থাকার প্রত্যয় রাখবো। এ প্রত্যয় আমাদের থাকা উচিত, এটি আমাদের ইমানেরও দায়িত্ব।"
রবিবার (২০ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে ক্যাম্পাসের বটতলা প্রাঙ্গণে গায়েবানা জানাজার আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব এম নসরুল্লাহ, থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব আশরাফ খানের ইমামতিতে গায়েবানা জানাজা সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুনঃ ভোলার সাংবাদিক নাহিদের উপর হামলায়, জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
সংক্ষিপ্ত আলোচনায় শিক্ষার্থীরা বলেন, ইসরাইলের ইহুদি এবং তাদের মদদপুষ্টরা মনে করেছে ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে শহিদ করে তারা বিজয় অর্জন করেছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে আল্লাহর পথে যারা শহিদ হয় তারা মৃত নয়। বরং তারা জীবিত যা আমরা উপলব্ধি করতে পারি না। একজন ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে শহীদ করে হামাসকে দমিয়ে রাখা যাবে না। একজন ইয়াহিয়া সিনওয়ার শহীদ হয়েছে, কিন্তু হাজার হাজার ইয়াহিয়া সিনওয়ার তৈরি হচ্ছে। ফিলিস্তিনরা তাদের ভূখন্ডে স্বাধীনভাবে বসবাসের জন্য সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, প্রথমে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, জুলাই বিপ্লবে সকল শহীদদের। জুলাই বিপ্লবের শহীদরা আমাদের শিখিয়েছেন কীভাবে জুলুমের প্রতিবাদ করতে হয়। আর এই প্রতিবাদী চেতনা আমাদেরকে শিখিয়েছে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী জনগণ। তাদেরই অনুরূপ শহীদ সিনওয়ার। শহীদ সিনওয়ার আমাদের শিখিয়েছেন কীভাবে জীবন দিয়ে হলেও দেশের জন্য অবদান রাখতে হয়। অধিকার আদায়ে ফিলিস্তিনের সংগ্রাম আর আমাদের চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান একই সূত্রে গাঁথা।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ অক্টোবর ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার দাবি করে ইসরায়েল। সিনওয়ারের মৃত্যুর ঠিক আগে মুহূর্তের ড্রোন ফুটেজও প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। হামাসের সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার কয়েক মাসের মধ্যেই সিনওয়ারকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল বাহিনী।