তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ এবং ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গণে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে এ কর্মসূচি দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
বটতলা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা 'আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ', 'আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না, ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই, 'আওয়ামী লীগ -ছাত্রলীগ, নিষিদ্ধ করো করতে হবে ', সাকিবলীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশান', 'ছাত্রলীগের চামড়া, তুলে নিবো আমরা', 'দড়ি ধরে মারো টান, চুপ্পুর গদি হবে খান খান,' ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, 'স্বৈরাচার সরকারকে মোকাবেলায় আমরা যখন হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম তখন আবু সাইদের মতো বীর শহীদ আমাদের বুকে স্বাধীনতার আশার সঞ্চার করে দিয়েছিলো। কিন্তু ফ্যাসিবাদের দোসররা শহিদের রক্তের সাথে বেইমানি করে এখনো দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্বৈরাচারী কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছে। ৫আগস্টের শহিদের কসম করে বলে দিচ্ছি যতদিন পর্যন্ত এদেশেরমাটি থেকে স্বৈরাচারদের বিদায় করতে না পারবো ততদিন আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখবো।'
আরও পড়ুনঃ আশুলিয়ায় ৩২ঘন্টা পর জলকামানেন মুখে সড়ক ছাড়ল শ্রমিকরা
এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি একবার বলেন শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছে এবং আমি তা গ্রহণ করেছি। পরবর্তীতে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বললেন তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগ পত্র পায়নি। রাষ্ট্রপতি পদে থেকে যে ব্যক্তি এমন দ্বিমুখী বক্তব্য এবং সংবিধান লঙ্ঘন করতে পারে তিনি আর রাষ্ট্রপতি থাকার যোগ্যতা রাখেন না। সুতরাং অনতিবিলম্বে তাকে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। এছাড়া চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময় থেকে ফ্যাসিবাদীর দোসররা প্রতিবিপ্লবের চেষ্টা করছে।
প্রায়১৬শ শাহাদাতের দায়বদ্ধতা থেকে প্রয়োজনে আবার ১৬ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে হলেও সকল প্রকার ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে আমরা রাজপথে থাকবো। এসময় তিনি ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে দ্রুত নিষিদ্ধের দাবি জানান।