তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ 'আমার ক্যাম্পাস, আমি পরিষ্কার রাখবো' স্লোগান সামনে রেখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পরিবেশবাদী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘গ্রীন ভয়েস’ এর সদস্যরা ক্যাম্পাসে পলিথিন মুক্তকরণ ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে সংগঠনটির শতাধিক সদস্য নিয়ে ১০ টি গ্রুপ হয়ে প্যারাডাইস রোড, ডায়না চত্বর, ঝাল চত্বর,বটতলা, ফুটবল মাঠ, ক্রিকেট মাঠ, আম বাগান, জিয়া মোড় হয়ে বঙ্গবন্ধু হলসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে এ পরিচ্ছন্নতা
অভিযান চলে।
পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য বিধি মেনে সদস্যরা একজন দলনেতার অধীনে ১০ জন সদস্যের আলাদা দল ক্যাম্পাসের ময়লা-আবর্জনা, পলিথিন, অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র, বিস্কুটের প্যাকেট সহ বিভিন্ন বর্জ সংগ্রহ করে বস্তাবন্দি করেন। এতে প্রায় কয়েক ধাপে ৪০ বস্তা বর্জ্য কুড়ানো হয়। বস্তাবন্দি বর্জ্য ভ্যানে করে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা হয়।
অভিযান চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো: শাহীনুজ্জামান, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের সভাপতি ও টিএসসিসির পরিচালক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন এবং সংগঠনের উপদেষ্টা ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনিসুল কবির এই কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং যাবতীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
সংগঠনটির সভাপতি মাজিদুল ইসলাম উজ্জ্বল বলেন, ‘আজকে আমাদের কর্মসূচি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে পড়ে থাকা পলিথিন বা অপচনশীল দ্রব্যগুলো কুড়িয়ে সংগ্রহ করা। সেজন্য আমরা ১০টি টিমে ভাগ হয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক থেকে ভিসি বাংলো এবং জিয়ামোড় এলাকায় পরিচ্ছন্ন অভিযান চালিয়েছি। পরে আমরা সেগুলো নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে দিয়েছি।এছাড়া আমরা পরিচ্ছন্ন অভিযান চালাতে গিয়ে দেখেছি আমাদের ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন নেই। প্রশাসনের কাছে আমাদের আহ্বান থাকবে তারা যেনো বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন স্থাপন করেন।’
আরও পড়ুনঃ আবাসিক সুবিধাবঞ্চিত ববির ৭৭ শতাংশ শিক্ষার্থী
সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ‘আমাদের সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য পরিবেশ রক্ষার কাজ করা। আমাদের নিজেদেরকে পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে এবং অপরকে সচেতন করতে হবে। আমরা যেভাবে একতাবদ্ধ হয়ে জুলাই বিপ্লবে সফলতা অর্জন করেছি, ঠিক একইভাবে একতাবদ্ধ হয়ে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করতে হবে।’
সংগঠনটির উপদেষ্টা জিওগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনিসুল কবির বলেন, ‘আমরা এমন একটা যুগে এসে দাঁড়িয়েছি যেটা ইকোসিস্টেমের যুগ। আমরা আজকে এখানে পরিচ্ছন্ন অভিযানে এসেছি, অথচ আমরাই এগুলো অপরিচ্ছন্ন করে রাখি। আমরা পলিথিন ইউজ করার সময় যদি একটু বুদ্ধি করে ইউজ করি, তাহলে সুন্দর একটা পরিবেশ গড়তে পারবো। তাই একটা পলিথিনকে সর্বোচ্চ কতবার ইউজ করা যায় সেদিকে নজর দেয়া উচিত। আমাদের এমন প্রযুক্তি আবিস্কার করা দরকার যার মাধ্যমে আমরা পলিথিনকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে পারি।'