তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ আল্পনার বর্ণিল রঙে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ক্যাম্পাসে জুড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। ২২ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্প সংশ্লিষ্ট সৃজনশীল সংগঠন ‘বুনন’ এ আল্পনা অঙ্কন করেছেন। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ক্যাম্পাসে বর্ণিল এ আল্পনা আনন্দকে আরও গভীরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সংগঠনের সদস্যরা দলবেঁধে আল্পনা আঁকার কাজে অংশ নেন। কেউ রং তুলির স্পর্শে ফুটিয়ে তুলছেন গ্রামীণ জীবন, কেউ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো বা নকশা তুলে ধরছেন। এতে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক, প্রশাসনিক ভবন, ডায়না চত্বর ও বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের আশপাশসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান এ আল্পনার নকশায় সজ্জিত করেছে সংগঠনটি।
আল্পনার কাজ দেখে মুগ্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, এই ধরনের উদ্যোগ ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বুননের এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মাঝে ঐক্য এবং সৃজনশীলতার চর্চাকে উৎসাহিত করবে। পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াবে।
বুননের সদস্য শান্ত শিশির বলেন, “এই আয়োজন আমাদের সবার জন্য অনেক আনন্দের। আল্পনা আঁকা শুধু কাজ নয়, এটি আমাদের বন্ধুত্ব আর সৃজনশীলতাকে একসঙ্গে প্রকাশ করার মাধ্যম।”
এ বিষয়ে বুননের সভাপতি নাহিদুর রহমান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আমাদের জন্য ঐতিহাসিক এবং গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনটিকে আরও স্মরণীয় করে তুলতে আমরা ক্যাম্পাসকে আল্পনার মাধ্যমে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের আল্পনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং দেশের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে। বুননের এই আয়োজন শুধু বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের সৌন্দর্যই বাড়ায়নি, বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীলতার অনুপ্রেরণা জাগিয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আলীনূর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিকে ধারণ করে পালিত হবে। আল্পনার মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানকে ফুটিয়ে তোলার উদ্যোগটি একটি চমৎকার ও সৃজনশীল ধারণা। আল্পনা, আমাদের ঐতিহ্যের একটি বিশিষ্ট শিল্পরূপ, এর মাধ্যমে ঐতিহাসিক ঘটনার চিত্রায়ণ শিক্ষার্থীদের এবং দর্শকদের মাঝে বিষয়টি আরো প্রাণবন্ত করে তুলবে।
আরও পড়ুনঃ রামগঞ্জে বিনা লাভের সবজি বাজারে সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া
এছাড়া তিনি আরও বলেন, ‘উদযাপন করা মানে হলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঐতিহাসিক সংগ্রামের চেতনা পুনর্জীবিত করা এবং তাদেরকে জাতির সামাজিক ও রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন করা। এটি শিক্ষার্থীদেরকে স্বাধীনতা, সাম্য, এবং ন্যায়ের জন্য লড়াইয়ের মর্মবাণী শিখতে সহায়তা করবে।’
প্রসঙ্গত, ২২ নভেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে শিক্ষা ও গবেষণাকর্ম প্রদর্শনী, বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভাসহ থাকবে নানা আয়োজন। দিবসটি উপলক্ষে ২২ নভেম্বর শুক্রবার বাদ জুম‘আ প্রাথমিক কর্মসূচি হিসেবে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছুটির দিন হওয়ায় ও উপাচার্য না থাকায় দিবসটি পিছিয়ে মূল কর্মসূচি ২৫ নভেম্বর (সোমবার) পালন করা হবে।