
মো: আলিফ হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি)-এর শাখা ছাত্রশিবির কর্তৃক আয়োজিত (২০২৩-২০২৪) শিক্ষাবর্ষের প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রথমবারের মতো বর্ণাট্য আলোচনা ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ১০টায় টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে এ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াতের পাশাপাশি ইসলামী সংগীত পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বের দায়িত্বে ছিলেন,বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের মাভাবিপ্রবি শাখার সভাপতি এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এবং পরিচালনায় ছিলেন মাভাবিপ্রবি শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মো. হাফিজুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও লেখক ড. আহসান হাবীব ইমরোজ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন টাঙ্গাইলের সমন্বয়ক মনিরুল ইসলাম, টাঙ্গাইল শহর ছাত্রশিবিরের সভাপতি মামুন আব্দুল্লাহ, বিশিষ্ট সমাজসেবক আহসান হাবীব মাসুদসহ মাভাবিপ্রবি শিবিরের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঞ্জুরুল ইসলাম নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন। আর এটি মোকাবেলায় নিজেদের ইতিহাস ও সংস্কৃতি চর্চার কোনো বিকল্প নেই। আমরা যদি নিজেদের সংস্কৃতিকে ধারণ করতে না পারি, নিজেদের মূল্যবোধের যথার্থ চর্চা না করতে পারি তাহলে এই আগ্রাসন মোকাবেলা করা সম্ভব না। তাই আমাদের সবাইকে নিজ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও আত্মপরিচয়ের প্রতি হীনমন্যতা না রেখে সেটিকে জীবনের প্রতিটা ধাপে ধারণ করতে হবে।”
আরও পড়ুনঃ ইবিতে ‘আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে তরুণদের ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার ৩ ডিসেম্বর
তিনি আরও বলেন, “ইসলামী ছাত্রশিবির নৈতিক মূল্যবোধকে সংরক্ষণ করতে চাই। আমরা ইতিহাস ও ঐতিহ্য চর্চায় আমাদের নিজস্ব ধারা সৃষ্টি করতে চাই। পাশাপাশি আমাদের তরুণ প্রজন্মকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন হতে হবে। রাজনৈতিকভাবে সচেতন না হলে আমরা আধিপত্যবাদীদের হাত থেকে আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে পারবো না।”
মাভাবিপ্রবি শাখার সভাপতি এহসানুল মাহবুব জুবায়ের সভাপতির বক্তব্যে বলেন, “ধর্ম, নৈতিকতা ও অন্যের অধিকারের প্রতি আমাদের খেয়াল রাখা প্রয়োজন। আমাদের জীবন যেন সৃষ্টিকর্তা বিমূখ না হয়ে যায়।”
উপহারসামগ্রী ও খাবার বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।