ডালিয়া হালদার, ববি প্রতিনিধিঃ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগের দাবীতে গত তিন দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের একাংশ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রোববার বেলা ১১টায় শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায় সভায় বসেন ববি উপাচার্য ড. সুচিতা শরমিন। সভায় উপচার্যের বিরুদ্ধে আনা অধিকাংশ অভিযোগই ছিল ভিত্তিহীন, যার কোনো প্রমান পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় এক সংবাদ সম্মেলনে ভিসির পদত্যাগ চাওয়ার কয়েকটি কারন উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দেওয়া ২২ দফার বাস্তবায়নের কোনো আগ্রহ না দেখানো, রাত ২ টায় সহকারী রেজিস্ট্রারকে জোর করে অফিসিয়াল কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা, বিতর্কিত ভিসি কলিমুল্লার ঘনিষ্ঠ কর্নেল আবু হেনা মোস্তোফা কামাল খানকে অফিসিয়াল সময়ের বাইরে যেয়ে রাত ৮টায় ট্রেজারার পদে যোগদান, অন্যান্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা না করে নির্দিষ্ট কয়েকজনের সাথে দেখা করাসহ আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয় উপাচার্যের বিরুদ্ধে। কিন্তু মতবিনিময় সভায় এর কোনোটির শক্তিশালী তথ্যপ্রমান দিতে পারেনি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
এবিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নত্তরে উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিন বলেন, শিক্ষার্থীরা ২২ দফা পূর্ববর্তী ভিসির কাছে উল্লেখ করলেও বর্তমান ভিসির কাছে এবিষয়ে কোনো লিখিত দাবী উত্থাপন করেনি। এছাড়াও তিনি বলেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ট্রেজারার নিয়োগদান করা হয় এতে উপাচার্যের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।
রাত ২টায় সহকারী রেজিস্ট্রারকে জোরপূর্বক ডেকে নেওয়া প্রসঙ্গে সেই সহকারী রেজিস্ট্রার বলেন, আমাকে কোনো জোর করা হয়নি, একজন উর্ধতন কর্মকর্তা হিসেবে ভিসি মহোদয় আমাকে যেই আদেশ দিয়েছেন আমি সেটা পালন করেছি। তিনি রাত ১১ টায় আমাকে ডেকেছিলেন, কাজ সম্পন্ন করতে রাত ২টা বেজে যায়।
আরও পড়ুনঃ ববিতে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে দিনভর উত্তেজনা
শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা করা প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি আমি জানতামই না। তবে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী সাথে সাক্ষাতের জন্য আমি আলাদা সূচীর নির্ধারণ করে দিয়েছি।
এছাড়াও জুলাই বিপ্লব মনে প্রানে ধারন করেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে ড. শুচিতা শরমিন বলেন তিনি ছাত্র আন্দোলন সমর্থন করতেন এবং এ বিপ্লব মনে প্রাণে ধারন করেন।