spot_img

― Advertisement ―

spot_img

জবি ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণায় নিরাপত্তাহীনতায় শিক্ষার্থীরা, দুই সংগঠনের নিন্দা

ওমর ফারুক জিলন, জবি প্রতিনিধিঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ছাত্রদলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয়...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসজবি ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি

জবি ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি

ওমর ফারুক জিলন, জবি প্রতিনিধিঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, জবি শাখা।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) সংগঠনটির নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর এ বিষয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন রায়হান হাসান রাব্বি, অপু মুনসি, তাওহিদ ইসলাম এবং সোহান প্রামাণিক।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, “২০১৮ সালে বৈষম্য ও কোটার বিরুদ্ধে শুরু হওয়া আন্দোলনের মাধ্যমে মেধাভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার প্রচলনের চেষ্টা হয়। দ্বিতীয় বাংলাদেশের চেতনায় আমরা একটি বৈষম্যমুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা চেয়েছি। কিন্তু এখনো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা বিদ্যমান, যা মেধাবীদের বঞ্চিত করছে। এটি আমাদের চেতনার পরিপন্থী।”

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, প্রতিটি বিভাগে সর্বোচ্চ ২ জন পোষ্য কোটায় ভর্তি হতে পারছেন, যা মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যায্য।

স্মারকলিপি দিতে যাওয়া শিক্ষার্থী রায়হান হাসান রাব্বি বলেন, ‘‘পোষ্য কোটা অন্যান্য ভয়ানক কোটার মধ্যে একটা। যে কোটা বাতিলের জন্য এত বড় আন্দোলন, এতগুলো প্রাণ ঝরেছে, যেখানে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতার কথা বলি, সেই কোটা কেন থাকবে? কোটা মানেই অযোগ্যদের টেনে এনে অযৌক্তিক সুবিধা দেওয়া। আমরা এটা কখনো হতে দেব না। এই পোষ্য কোটার জন্য মেধাবীরা বঞ্চিত হয়। এই নতুন বাংলাদেশে আর কোনো মেধাবী বঞ্চিত হবে না।’’

আরও পড়ুনঃ ইবির উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদে নতুন নিয়োগ

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, ৪০টি বিভাগে সর্বোচ্চ ৮০ জন শিক্ষার্থী পোষ্য কোটায় ভর্তি হতে পারবেন। কিন্তু এটি বাতিলের বিষয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদ আরও জোরালো আন্দোলনের ইঙ্গিত দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ দাবির বিষয়ে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তা এখনো জানা যায়নি।