spot_img

― Advertisement ―

spot_img

শিক্ষক-ক্লাসরুম অপ্রতুলতার মধ্যেই বুটেক্সে নতুন বিভাগ চালু, সোশ্যাল মিডিয়ায় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

মো: সাদিক ফাওয়াজ সামিন, বুটেক্স প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স)-এ দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে শিক্ষক এবং ক্লাসরুম সংকটজনিত সমস্যা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সমস্যাগুলোর সমাধান না করেই...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসবুটেক্সে ফরম পূরণ যেন এক ভোগান্তির নাম

বুটেক্সে ফরম পূরণ যেন এক ভোগান্তির নাম

মো: সাদিক ফাওয়াজ সামিন, বুটেক্স প্রতিনিধিঃ সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ফরম পূরণের কথা মনে হলেই ভোগান্তির চিত্র ভেসে ওঠে। যেখানে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় কাজ চলছে, সেখানে বুটেক্সে ফরম পূরণে এখনো প্রাচীন আমলের পদ্ধতি চালু রয়েছে। প্রশাসনকে অনলাইনে ফরম পূরণের ব্যবস্থার জন্য একাধিকবার জানানোর পরও আশার আলো দেখেনি শিক্ষার্থীরা। এমনটাই অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) শিক্ষার্থীরা

জানা যায়, ফরম পূরণের জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে অনলাইনে ফরম সংগ্রহ করতে হয়, এরপর সেই ফরম প্রিন্ট করে, ম্যানুয়ালি ফিলাপ করতে হয়। তারপর ফরমের সাথে যুক্ত করতে হয় লাইব্রেরি ক্লিয়ারেন্স এবং হল সংযুক্তি। আর এই  লাইব্রেরি ক্লিয়ারেন্স নিতে ভোগান্তির শেষ নাই, দীর্ঘ লাইন ধরে সংগ্রহ করতে হয়। অন্যদিকে যারা অনাবাসিক শিক্ষার্থী তাদেরকে তিনটি হল ঘুরে ঘুরে হল সংযুক্তি নিতে হয়, যাতে চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছে অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে অনলাইনের নামে ফর্ম ফিলাপের টাকা জমা নিলেও, এটার রশিদ প্রিন্ট করে আবার জমা দিতে হয়। এভাবে জটিল ও সময় সাপেক্ষ প্রক্রিয়ায় প্রতি সেমিস্টার ফাইনালের ফরম পূরণ চলে।

এ বিষয়ে দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে চলছে ফরম পূরণ কার্যক্রম। কিন্তু প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পার করে ফেলা বাংলাদেশ টেক্সটাইল  বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো চলছে ভোগান্তিকর অ্যানালগ পদ্ধতি।

আরও পড়ুনঃ ডীনরা রাজনৈতিক প্রভুত্ব মানতে বাধ্য ননঃ ইবি উপাচার্য

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরম ফিলাপের প্রক্রিয়াটা পরীক্ষার থেকেও জটিল। এই দপ্তর থেকে ওই দপ্তর, এই ভবন থেকে ওই ভবনে অহেতুক ছোটাছুটি করার ফলে শিক্ষার্থীদের মূল্যবান সময় ও শ্রম ব্যয় হয়। এ জন্য সকল শিক্ষার্থীদের দাবি এই প্রক্রিয়াটা যেন সহজ ও শিক্ষার্থীবান্ধব করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আমরা দ্রুতই অটোমেশন পদ্ধতিতে ঢুকে যাবো। তখন আর এই ভোগান্তি থাকবে না। আশা করা যায়, পরবর্তী সেমিস্টার থেকেই শিক্ষার্থীরা এই সুবিধা পাবে।

বিষয়ে আইসিটি সেলের মো. আসিফুর রহমান বলেন, আমরা সবকিছু অনলাইনে আনার জন্য কাজ করছি। ইতোমধ্যেই কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই শিক্ষার্থীরা সবকিছু অনলাইনে করতে পারবে।