
আবু বকর সিদ্দিক,জাবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের(জাবি) শেখ রাসেল হলের ৪র্থ ও ৫ম তলায় গণরুমের ছড়াছড়ি। এছাড়া শিক্ষার্থীদের এলোডেট রুমকে পরিণত করা হয়েছে স্টোর রুমে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় চতুর্থ তলার ৪০১,৪০২,৪০৯,৪১০ ও পঞ্চম তলার ৫০৯,৫১০ নাম্বার রুমে ঠাঁই হয়েছে নবীন শিক্ষার্থীদের (৫২ ব্যাচ)। রুমগুলো চারজনের হলেও থাকছে প্রয়া ১২থেকে ১৪ জন করে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন নবীন শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া, ৫০৮ নাম্বার রুমকে পরিত্যক্ত রেখে সেখানে ৫ম তলার গণরুমগুলোর সকল বেড জড়ো করে রাখা হয়েছে। রুমে আছে একটি ক্যারোম বোর্ডও। আরো দেখা যায় যে বেডগুলো ৫০৮ নাম্বার রুমে রাখার জায়গা হয়নি সেগুলো অযত্নে বাহিরে ফেলে রাখা হয়েছে।
আরোও জানা যায় শেখ রাসেল হলে ৫১ ব্যাচের কোনো শিক্ষার্থী এলোটেড না হলেও ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় পলিটিক্যাল ব্লকে থাকে এই ব্যাচের অনেক শিক্ষার্থী।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে গণরুমে থাকা একাধিক শিক্ষার্থী বলেন,আমরা এক রুমে ১২-১৪ জন করে থাকছি। আমাদের খাটগুলো সরিয়ে পাশের রুমে জড়ো করে রেখে দেওয়া হয়েছে । এতে করে আমাদের ফ্লোরিং করে থাকতে হচ্ছে। অথচ রুম আর খাট পর্যাপ্ত খাট থাকার পরও আমরা ফ্লোরিং করে থাকতে হচ্ছে।
এসব বিষয়ে শেখ রাসেলের হলের প্রভোস্ট ও পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস্ ভিভাগের সহযোগিতা অধ্যাপক তাজউদ্দিন সিকদার বলেন, “আমার জানামতে আমার হলে কোন গণরুম নাই৷ আমি যখন হল ভিজিট করি ছাত্রদের সাথে কথা বলি তখন আমি কোন গণরুম দেখি না।”
আরও পড়ুনঃ জাবি শুভ সংঘের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিতদের মধ্যে ইফতারসামগ্রী বিতরণ
৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের থাকার ব্যাপারে তিনি বলেন, তাদের লিস্ট প্রশাসনকে দিয়েছি। প্রশাসন হয়তো তাদেরকে এই হলে এলোট দিয়ে থাকতে দিবে নাহয় অন্য ব্যাবস্থা নিবে।