spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ইবি ছাত্রশিবিরের মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে অর্ধশতাধিক ইবিয়ানের মিলনমেলা

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) হৃদয়গ্রাহী এক মিলনমেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা।ঈদের...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসসেশনজট নিরসনসহ দশ দফা দাবিতে ইবির সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

সেশনজট নিরসনসহ দশ দফা দাবিতে ইবির সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থীরা সেশনজট ও শিক্ষক সংকট নিরসনসহ দশ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন। শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন চত্বরে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।

আন্দোলনে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট দাবি তুলে ধরেছেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, প্রতিটি কোর্সে ন্যূনতম ক্লাস নিশ্চিত করতে নির্দিষ্ট রুটিন প্রণয়ন। তিন মাসের মধ্যে সেমিস্টারের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে সেশনজট নিরসন। পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ এবং প্রয়োজনীয় গেস্ট টিচার দ্বারা ক্লাস পরিচালনা। পর্যাপ্ত ক্লাসরুমের ব্যবস্থা। সেমিনার লাইব্রেরি বরাদ্দ।

আরও রয়েছে, ইনকোর্স পরীক্ষাগুলো সেমিস্টার ফাইনালের পরে নেওয়া এবং নম্বর প্রদান। বিভাগীয় তত্ত্বাবধানে ট্রেজারার অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলমকে নিয়োগ। সাত কার্যদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ। বার্ষিক শিক্ষা সফরের ব্যবস্থা। আন্দোলনের ফলে কোনো শিক্ষার্থীর ওপর যেন নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, তা নিশ্চিত করা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমাদের বিভাগে মাত্র তিনজন শিক্ষক রয়েছেন, আর ক্লাসরুম আছে একটি। সাতটি ব্যাচের ক্লাস ও পরীক্ষা একসঙ্গে চলায় আমরা মারাত্মক সেশনজটে পড়েছি। একেকটি সেমিস্টার পরীক্ষা শেষ করতেও অনেক সময় লেগে যায়। আমাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।”

আরও পড়ুনঃ লক্ষ্মীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৮

বিভাগের সভাপতি আসমা সাদিয়া রুনা জানান, “শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি নিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করছি। আলোচনা শেষে সমাধান বের করার চেষ্টা করা হবে।”

শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, “সেশনজট নিরসন এবং আমাদের শিক্ষা কার্যক্রমকে সঠিক নিয়মে পরিচালনার জন্য আমরা দ্রুত ব্যবস্থা চাই। আন্দোলনের পর কোনো শিক্ষার্থী যেন হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিলেও, আন্দোলনকারীরা তাদের দাবির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।