spot_img

― Advertisement ―

spot_img

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশঃ নিরাপত্তা শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাধে বহিরাগতদের প্রবেশে নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছেন শিক্ষার্থীরা। অভিযোগ রয়েছে এসব নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন মাইকিং-বিজ্ঞপ্তিতেই দায় সারছেন।সরেজমিনে...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসগ্রাম-বাংলার পিঠাপুলির ঐতিহ্য রক্ষায় ইবিতে রক্তিমার পিঠা উৎসব

গ্রাম-বাংলার পিঠাপুলির ঐতিহ্য রক্ষায় ইবিতে রক্তিমার পিঠা উৎসব

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠাপুলির সমাহার নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শীতকালীন পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘রক্তিমা’। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় দিনব্যাপী এই উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়।

উৎসবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ উৎসবস্থল পরিদর্শন করেন। উপস্থিত ছিলেন রক্তিমার সভাপতি সিরাজুম মুনিরা, ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসানসহ অন্যান্য শিক্ষার্থী।

উৎসবে শিক্ষার্থীরা নিজ হাতে তৈরি প্রায় ৩০ ধরনের পিঠা নিয়ে স্টল সাজান। উৎসবস্থল সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। পিঠার মধ্যে ছিল সুইচ রোল পুলি, সুজির মালাই চাপ, ম্যারা পিঠা, নারকেলপুলি, দুধ চিতই, ভাপা পিঠা, ফুলঝুরি পিঠা, সেমাই পিঠা, কেক, গোলাপ পিঠা, ডালের পিঠা, পুডিং, দুধমালাই রিং, দুধ সন্দেশ, নারকেল চমচম, তেলের পিঠা, নারকেল পাকন ও পাটিসাপটা।

আল-ফিকাহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফুল আলম বলেন, “অনেকদিন পরে ক্যাম্পাসে এমন পিঠা উৎসব দেখে ভালো লাগছে। উৎসবস্থলে এসে গ্রামের পিঠার স্মৃতি ফিরে পেলাম।”

রক্তিমার সভাপতি সিরাজুম মুনিরা বলেন, “রক্তদান কর্মসূচির পাশাপাশি আমরা সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। শীতকালীন ছুটিতে যারা বাড়ি যায়নি, তাদের সঙ্গেই উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই আয়োজন। রক্তিমার সব সদস্য মিলে এই স্টল তৈরি করেছি।”

আরও পড়ুনঃ পরীক্ষা দিতে এসে নিষিদ্ধ সংগঠনের ছাত্রলীগ নেতা আটক

উৎসবস্থল পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “তোমাদের আয়োজন সত্যিই চমৎকার। এর মাধ্যমে আমাদের হারানো গ্রামীণ ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার হবে এবং শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ফুটে উঠবে। তোমাদের এমন উদ্যোগের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক।”

২০১৭ সাল থেকে শুরু হওয়া রক্তিমা সংগঠনটি কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, যশোর ও রাজশাহীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে মুমূর্ষু রোগীদের বিনামূল্যে রক্ত সরবরাহ করছে। এছাড়া থ্যালাসেমিয়া, ডেঙ্গু এবং মাতৃত্বকালীন সমস্যার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিসহ রক্তদান সম্পর্কিত বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।