তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসুর ‘লাল সন্ত্রাস’ ঘোষণার প্রতিবাদ ও তাকে গ্রেফতারের দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় জিয়া মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন, “লাল সন্ত্রাসের ঠিকানা, বাংলাদেশে হবে না,” “সন্ত্রাসীদের কালো হাত, ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও,” “লাল সন্ত্রাসকে গ্রেফতার করো, করতে হবে করতে হবে,” “শাহবাগীদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না” ইত্যাদি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মেঘমল্লার বসুর ঘোষণায় প্রমাণিত হয় যে, লাল সন্ত্রাস জুলাই আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের সঙ্গে অনুপ্রবেশ করে গণহত্যা চালিয়েছে। তার বক্তব্যের মাধ্যমে এটা স্পষ্ট যে, দেশের বিভিন্ন সহিংস ঘটনার পেছনে লাল সন্ত্রাসের হাত রয়েছে। বক্তারা অভিযোগ করেন, দেশের বিভিন্ন জাতি ও ধর্মের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে তারা।
তারা আরও বলেন, “আমরা সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষকে সমান মর্যাদা দিতে চাই। আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা মানুষ, তারপর আমরা বাংলাদেশি। আমাদের মধ্যে কোনো ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বা আদিবাসী ভেদাভেদ নেই। তবে ছাত্র ইউনিয়নের মতো সংগঠন এদেশকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র করছে।”
বক্তারা অভিযোগ করেন, মেঘমল্লার বসুর মন্তব্য দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। তারা বলেন, “২০১২ সালের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই মেধাবী শিক্ষার্থীর গুম থেকে শুরু করে বিরোধীদলীয় নেতাদের গুম-হত্যার ঘটনায় ছাত্র ইউনিয়নের হাত রয়েছে।”
আরও পড়ুনঃ মেঘমল্লার বসুর ‘লাল সন্ত্রাস’ ঘোষণার প্রতিবাদে বশেমুরবিপ্রবিতে বিক্ষোভ মিছিল
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, “আমরা ২৪ আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছি এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চাই। তবে মেঘমল্লার বসুর ঘোষণার মাধ্যমে দেশে নতুন সন্ত্রাস সৃষ্টির প্রচেষ্টা চলছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে গ্রেফতার করতে হবে।”
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মেঘমল্লার বসু লিখেছেন, “লাল সন্ত্রাসই একমাত্র পথ বা উপায়।” তার এই বক্তব্যে দেশের বিভিন্ন মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ চলছে।