spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ইবি ছাত্রশিবিরের মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে অর্ধশতাধিক ইবিয়ানের মিলনমেলা

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) হৃদয়গ্রাহী এক মিলনমেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা।ঈদের...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসইবিতে গবেষণায় বাঁধা, ছুটি বাতিল ও বেতন বন্ধের অভিযোগ এক শিক্ষকের

ইবিতে গবেষণায় বাঁধা, ছুটি বাতিল ও বেতন বন্ধের অভিযোগ এক শিক্ষকের

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক ড. জহুরুল ইসলাম গবেষণার কাজে বিদেশে অবস্থানের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছুটি বাতিল এবং বেতন বন্ধ করার অভিযোগ তুলেছেন।

তিনি দাবি করেছেন, নিয়ম মেনে সবপ্রকার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেও তাকে অনিয়মের শিকার হতে হচ্ছে।

ড. জহুরুল ইসলাম জানান, ২০২৩ সালের ১৭ মে তিনি দুই বছরের এমএস ডিগ্রির জন্য ছুটির আবেদন করেন। তবে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার আবেদন বিবেচনা করা হয়নি। পরবর্তীতে তিনি এক বছরের জন্য স্যাবাটিক্যাল লিভ মঞ্জুর পান এবং গবেষণার কাজে University of North Dakota-তে যোগ দেন।

২০২৩ সালের ৯ আগস্ট তিনি স্যাবাটিক্যাল লিভের পরিবর্তে ছুটি বিধির ২০ (vii) ধারায় বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রজেক্টে কাজের জন্য ছুটির আবেদন করেন, যা অনুমোদিত হয়। তবে চলমান ছুটি বৃদ্ধির জন্য গত ২৭ জুলাই নতুন করে আবেদন করার পর তা আর মঞ্জুর হয়নি।

তিনি বলেন, “অন্য কোনো কারণ না দেখিয়ে আমার ছুটি বাতিল করা হয়েছে এবং আমাকে ক্যাম্পাসে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আমার বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অন্যায়। এমনকি আমাকে বিষয়টি আগে থেকে অবহিতও করা হয়নি।”

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য এবং স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী বলেন, “উনার বিষয়ে কোন বিধি অনুযায়ী ছুটি নামঞ্জুর হয়েছে তা আমি এখন বলতে পারবো না। উনি যদি মনে করেন, তার ওপর অন্যায় করা হয়েছে, তাহলে ভিসি বরাবর অভিযোগ করতে পারেন। বিষয়টি সিন্ডিকেটে আলোচনা করা হবে।”

আরও পড়ুনঃ রাজশাহী কলেজে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন, শিমুল হত্যার বিচার দাবি

ড. জহুরুল বলেন, “আমি মাত্র এক বছর ছুটি ভোগ করেছি, যা একজন শিক্ষকের ন্যায্য অধিকার। অথচ, আমার গবেষণার কাজ বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। ছুটি বাতিল ও বেতন বন্ধের এই সিদ্ধান্ত আইনের লঙ্ঘন এবং এর সুবিচার দাবি করছি।”

তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী শিক্ষকরা পাঁচ বছরের সবেতনে শিক্ষা ছুটি, এক বছরের স্যাবাটিক্যাল লিভ, দুই বছরের পোস্টডকসহ বিভিন্ন ধরনের ছুটির সুযোগ পান। কিন্তু তার ক্ষেত্রে এসব নিয়ম উপেক্ষা করা হয়েছে।

এ ঘটনা নিয়ে সাধারণ শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমকে উৎসাহিত করার পরিবর্তে এমন সিদ্ধান্ত গবেষণার পরিবেশ নষ্ট করছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের পরবর্তী বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।