spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ইবি ছাত্রশিবিরের মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে অর্ধশতাধিক ইবিয়ানের মিলনমেলা

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) হৃদয়গ্রাহী এক মিলনমেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা।ঈদের...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসছয় শর্তে দেড় বছরে ইবি মেগাপ্রকল্পের কাজ সম্পন্নের নির্দেশ পরিকল্পনা কমিশনের

ছয় শর্তে দেড় বছরে ইবি মেগাপ্রকল্পের কাজ সম্পন্নের নির্দেশ পরিকল্পনা কমিশনের

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৫৩৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকার মেগাপ্রকল্পের মেয়াদ দ্বিতীয় দফায় দেড় বছর বাড়ানো হয়েছে। তবে এই সময়সীমা আরেক দফা না বাড়ানোর শর্তসহ ছয়টি শর্ত জুড়ে দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত চার বছর মেয়াদি এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। কিন্তু ছয় বছরেও মাত্র ৪০% কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ফলে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশন ছয়টি শর্তসাপেক্ষে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়েছে। এগুলো হলো, আরও মেয়াদ বাড়ানো হবে না: এই সময়সীমার পর প্রকল্পের মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না। অর্থ ছাড় ও বরাদ্দ নিশ্চিত করা: মন্ত্রণালয়কে দ্রুত বকেয়া অর্থ ছাড় করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে। নির্মাণ সামগ্রীর গুণগত মান নিশ্চিত করা: প্রকল্প পরিচালককে অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী নির্মাণ কাজ পরিচালনা করতে হবে। নির্মাণ সামগ্রী যেমন—স্টিল সাটারিং, স্যানিটারি সামগ্রী, বৈদ্যুতিক তার, টাইলসের গুণগত মান যাচাই করতে হবে। সুনির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা: বর্ধিত মেয়াদে প্রকল্পের সব কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। নির্মিত ভবন ব্যবহার নিশ্চিত করা: প্রকল্পের আওতায় নির্মিত তিনটি দশতলা আবাসিক ভবন যাতে অব্যবহৃত না থাকে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে। সরঞ্জাম সংযোজন ও ব্যবস্থাপনা: নির্মাণ শেষ হওয়ার পর দ্রুত আসবাবপত্র, ল্যাবরেটরি যন্ত্রপাতি, ক্রীড়া সামগ্রী ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

    এছাড়া প্রকল্পের আওতায় কেনা যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্রের একটি তালিকা তৈরি করে প্রতিটির ওপর স্থায়ী চিহ্ন দিয়ে প্রকল্পের নাম উল্লেখ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর জানিয়েছে, ২০১৮ সালের ২৫ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই প্রকল্প অনুমোদিত হয়। এর অধীনে ৯টি দশতলা ভবন ও ১১টি ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণসহ বেশ কিছু অবকাঠামো উন্নয়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়।

    ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্প অনুমোদনের পর তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারীর দুই বছর দায়িত্বকালে মাত্র ৮% কাজ সম্পন্ন হয়। পরে ২০২০ সালে অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম উপাচার্য হওয়ার পর কাজ পুনরায় শুরু হয়। তবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে ঠিকাদাররা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘসূত্রতার ফলে এখনো মাত্র ৪০% কাজ শেষ হয়েছে।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম শরীফ উদ্দিন বলেন, “প্রশাসনিক পরিবর্তন, করোনা মহামারি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে নির্ধারিত সময়সীমায় কাজ শেষ হয়নি। এখন আমরা দ্রুত কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করছি। কারণ, পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে যে এবার মেয়াদ বাড়ানোর পর আর সময় বাড়ানো হবে না।”

    আরও পড়ুনঃ বিভাগের নাম পরিবর্তন নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে ইবি শিক্ষার্থীরা

    পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক এবং প্রকল্প পরিচালক ড. নওয়াব আলী বলেন, “আমরা দুই বছর সময় বাড়ানোর আবেদন করেছিলাম। তবে পরিকল্পনা কমিশন দেড় বছর সময় দিয়েছে। আশা করছি, এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।”

    বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মনে করেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের দীর্ঘসূত্রতা এবং প্রশাসনের অদূরদর্শিতার কারণে তারা কাঙ্ক্ষিত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এখন প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও কার্যকর উদ্যোগের প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।