spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ইবি ছাত্রশিবিরের মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে অর্ধশতাধিক ইবিয়ানের মিলনমেলা

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) হৃদয়গ্রাহী এক মিলনমেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা।ঈদের...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসইবিতে পৌষ্য কোটা নিয়ে বিতর্ক, বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

ইবিতে পৌষ্য কোটা নিয়ে বিতর্ক, বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) এখনো বহাল রয়েছে পৌষ্য কোটা, যা ইতোমধ্যে রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাতিল হয়েছে। এতে ন্যূনতম পাস নম্বর পেলেই শিক্ষার্থীরা ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন, যা চরম বৈষম্যমূলক বলে অভিযোগ তুলেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শাখা ও আইসিটি সেলের তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ বর্ষে গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষায় মাত্র ২৪ ও ৩০ নম্বর পেয়েও ২৩ জন শিক্ষার্থী পৌষ্য কোটায় ভর্তি হয়েছেন। এমনকি অতীতে ন্যূনতম পাস মার্ক ছাড়াই শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর রেকর্ডও রয়েছে। ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নম্বর শিথিল করে শিক্ষকদের সন্তানদের ভর্তি করানোর অভিযোগ উঠেছে। ফলে একাডেমিক কার্যক্রমে পিছিয়ে পড়া এসব শিক্ষার্থীদের সেশনজটসহ নানা ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সভাপতিদের মতে, কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে গুটিকয়েক ভালো করলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী একাডেমিক কার্যক্রমে ব্যর্থ হয়। অনেকেই রিটেক পরীক্ষায়ও পাস করতে পারে না। মানবিক দিক বিবেচনায় শিক্ষকদের তাদের পাস করিয়ে দিতে হয়।

এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ২৪ ও ৩০ নম্বর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া চরম বৈষম্যমূলক। এটি মেধার প্রতি অবিচার। ‘জিএসটি’ কেন্দ্রীয়ভাবে পৌষ্য কোটা বাতিল না করলে আমরা আন্দোলনে যাবো।”

আরও পড়ুনঃ ট্র্যাব অ্যাওয়ার্ড পেলেন ‘আমার দেশ’ পত্রিকার আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ জানান, “গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কেন্দ্রীয় সভায় পৌষ্য কোটা বাতিলের প্রস্তাব এসেছে। তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কেন্দ্রীয়ভাবে কোটা বাতিল করা হলে, আমরাও অনুসরণ করবো।”