জাবি প্রতিনিধি:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক কর্মচারির স্ত্রীকে অশালীন আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে।
গত ২৭ মার্চ (শনিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান বরাবর লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন ওই কর্মচারি।
অভিযুক্ত কর্মকর্তার নাম দেবব্রত পাল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা অফিসের উপ পরিচালক। অন্যদিকে ভুক্তভোগী স্ত্রীর ওই কর্মচারির নাম আলমগীর হোসেন। তিনি আ ফ ম কামালউদ্দীন হলের সিনিয়র ক্লিনার হিসেবে কর্মরত আছেন।
অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, আলমগীর হোসনের স্ত্রী আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার ছোট মেয়েকে নিয়ে ড. শ্যামল কুমার শীল কে দেখানোর জন্য মেডিকেলে যায়। ডাক্তার দেখানোর জন্য মেয়েকে নিয়ে সিরিয়ালে দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় আলমগীরের স্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ডাক্তারের রুমে প্রবেশ করে দেবব্রত পাল। এতে আলমগীরের স্ত্রী সিরিয়ালে দাড়িয়ে আছে বললে তার সাথে খারাপ আচরন করে ও ডাক্তারের রুমে প্রবেশ করে। পরে রুম থেকে বের হওয়ার সময় আলমগীরের স্ত্রীকে আবারও ধাক্কা দেয় দেবব্রত পাল। এসময় ভুক্তভোগী তার স্বামীর পরিচয় দিলে তার সাথে উশৃংঙ্খল আচরন ও অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন দেবব্রত। সেখানে থাকা মেডিকেল অফিসারসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা বিষয়টি দেখেছেন। পরবর্তীতে দেবব্রত পাল বিষয়টি নিয়ে চুপ থাকতে ছাত্রদের ভয়ভীতি দেখান।
অভিযুক্ত দেবব্রত পাল বলেন, এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে রেজিস্ট্রারের কাছে আমিও একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছি। সেদিন মেডিকেলের কোনো নিয়ম শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়নি। এটি শুধু ডাক্তারের কাছে আগে পরে যাওয়া নিয়ে একটা বিষয় ছিল। সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ চেক করলেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি তারা উপলব্ধি করতে পেরেছেন এবং এটি মিমাংসা করতে আগামীকাল সম্ভবত তারা বসতেও চাচ্ছেন।
তবে ভুক্তভোগীর স্বামী আলমগীর হোসেন বলেন, ঘটনার মিমাংসা করতে তার সাথে বসার কোনো কথা জানি না। অকারণে আমার স্ত্রীর সঙ্গে এমন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং ধাক্কা দেওয়া আমার পরিবারের জন্য মানহানিকর। আমি প্রশাসনের কাছে দ্রুত এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
আরও পড়ুনঃ জাবিতে ফুটপাতবিহীন সড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনা
প্রত্যক্ষদর্শী ড. শ্যামল কুমার শীল জানান, রোগী দেখা নিয়ে কে আগে আসবে আর কে পরে আসবে। এটা নিয়ে মূলত ঝামেলা হয়েছে। আর হাসপাতাল ত মানবিক জায়গা। এখানে ইমারজেন্সি রোগীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এখানে কে কর্মকর্তা আর কে কর্মচারী সেটা ক্লাসিফাই করা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, ওই কর্মকর্তা আমাকে জিজ্ঞেস করেন 'আমি অফিসার, আমাকে আগে দেখানোর সুযোগ আছে কিনা'। তখন আমি বলেছি, না। যদি আপনি ইমার্জেন্সি হন তবে আপনি আগে। এখানে যে ইমারজেন্সি তাকে আগে দেখা হবে। সে যদি রিকশাওয়ালাও হয় তবুও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।