
মোঃ শাকিল শাহরিয়ার, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) শিক্ষার্থী ও কবি জুবায়েদ মোস্তফার ষষ্ঠ বই আসছে এবারের অমর একুশে বইমেলায়। লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের এই শিক্ষার্থীর নতুন কাব্যগ্রন্থের নাম ‘মেঘফুলের নৈঃশব্দ্য’। এতে গদ্যছন্দ ও স্বরবৃত্ত ছন্দে রচিত জীবনমুখী ও বাস্তবধর্মী কবিতা উঠে এসেছে, যেখানে পাঠক নিজেকে খুঁজে পাবেন বলে জানিয়েছেন লেখক।
২০২০ সালে ‘অগ্নিশিখা’ বই প্রকাশের মাধ্যমে সাহিত্য অঙ্গনে আত্মপ্রকাশ করেন জুবায়েদ মোস্তফা। এরপর ২০২১ সালে ‘আলো আঁধারের সন্ধিক্ষণ’ প্রকাশের মাধ্যমে তিনি পাঠকমহলে প্রশংসিত হন। ২০২২ সালে ‘রঙিন ফুলের স্বপ্ন’ এবং ২০২৩ সালে ‘সাইক্লোনের শহরে সন্ধি’ প্রকাশিত হলে ব্যাপক সাড়া ফেলেন। ২০২৪ সালে প্রকাশিত ‘মন করিডোরে আলোর মিছিল’ তাকে সাহিত্যাঙ্গনে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায়।
সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি কলকাতা মহানগরী সাহিত্য পুরস্কার, সময় সুর সাহিত্য পুরস্কার-২০২২, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্মৃতি পদক-২০২২ এবং সুকান্ত ভট্টাচার্য স্মৃতি পদক অর্জন করেছেন। জাতীয় পত্রিকায় লেখালেখির দক্ষতার জন্য বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, গোবিপ্রবি শাখার ২০২১-২২ বর্ষসেরা লেখক নির্বাচিত হন।
নতুন কাব্যগ্রন্থ ‘মেঘফুলের নৈঃশব্দ্য’ সম্পর্কে জানা গেছে, এটি চারটি ভাগে সাজানো হয়েছে— ভালোবাসার নীলপত্র, বিষাদের নীল প্রহর, কালো মেঘের বজ্রধ্বনি, নিসর্গের নীলতান। প্রেম, বিরহ, বাস্তবতা ও প্রকৃতির অনন্য বর্ণনা উঠে এসেছে বইটিতে।
আরও পড়ুনঃ ইবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি জায়িম, সম্পাদক রিফাত
নতুন বই প্রসঙ্গে লেখক জুবায়েদ মোস্তফা বলেন, “‘মেঘফুলের নৈঃশব্দ্য’ আমার কবিতার এক নতুন ভুবন, যেখানে মেঘের নরম ছোঁয়া আর ফুলের কোমল গন্ধ মিলেমিশে গড়ে তুলেছে এক অপার নীরবতার ভাষা। এই নৈঃশব্দ্য কখনো প্রেমের, কখনো অভিমানের, কখনো বা বিরহের এক গভীর আত্মকথন। প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি পঙ্ক্তি যেন একেকটি অনুচ্চারিত অনুভূতির রঙিন চিত্রকল্প।”
তিনি আরও বলেন, “প্রেম, বিরহ, স্বপ্ন আর প্রকৃতির সংলাপ এই কবিতার মূল সুর। এখানে শব্দেরা রঙের মতো ছড়িয়ে যায় হৃদয়ের ক্যানভাসে, বৃষ্টির ফোঁটার মতো মাটিতে মিশে যায় নীরবে। ‘মেঘফুলের নৈঃশব্দ্য’ তাই শুধু কাব্য নয়, এটি এক অনুভূতির যাত্রা, যেখানে পাঠক নিজেকে খুঁজে পাবেন মেঘের ছায়ায়, ফুলের সুবাসে, আর নৈঃশব্দ্যের গভীরতায়। যদি এই বইয়ের কোনো পঙ্ক্তি কারো হৃদয়ের গহীনে একটুখানি আলো ছড়িয়ে দেয়, যদি কোনো শব্দ নিঃশব্দ অনুভূতিকে ভাষা দেয়, তবে কবি হিসেবে আমার স্বপ্ন সফল।”