spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ইবির জুলাই বিরোধীদের শাস্তি চায় বিএনপিপন্থী শিক্ষকবৃন্দ

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জুলাই অভ্যুত্থানবিরোধী ভূমিকায় থাকা ৩০ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত ও ৩৩জন ছাত্রলীগ নেতাকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসইবিতে এমসি কলেজের ঘটনার প্রতিবাদ ও আওয়ামী দোসরদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ

ইবিতে এমসি কলেজের ঘটনার প্রতিবাদ ও আওয়ামী দোসরদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ সিলেটের এমসি কলেজে শিক্ষার্থীদের ওপর শিবিরের হামলার প্রতিবাদ এবং আওয়ামী দোসরদের বিচার ও কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া নয়টায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ক্যাম্পাসের জিয়া মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবন চত্বরে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে আন্দোলনকারীরা বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সভা-সেমিনারে আওয়ামী লীগের দোসররা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো ক্যাম্পাসে সক্রিয় থাকলেও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। প্রশাসনকে দ্রুত এসব দোষীদের বিচার ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।

এছাড়া, সিলেটের এমসি কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন, সন্ত্রাসীদের কোনো দল বা পরিচয় নেই। একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় দ্রুত সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সহ-সমন্বয়ক সায়েম আহমেদ বলেন, আজকের আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিই প্রমাণ করে যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোনো দলের এ টিম বা বি টিম নয়। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যে-ই দাঁড়াবে, সেই আমাদের আন্দোলনের অংশীদার। অপরাধী যে-ই হোক, তার বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে।

আরও পড়ুনঃ গবিতে বিএমবির এক অন্যরকম ‘চড়ুইভাতি’

সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, জুলাই আন্দোলনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়ে গণহত্যাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ৪ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শাপলা ফোরাম ‘আর নয় হেলা ফেলা, এবার হবে ফাইনাল খেলা’ স্লোগান দিয়েছে। প্রশাসন এখনো তাদের নিষিদ্ধ করেনি। বারবার দাবি জানানো হলেও প্রশাসন এসব দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কুয়েট ও এমসি কলেজে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমেরই ধারাবাহিকতা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে। মতাদর্শ ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু শিক্ষাঙ্গনে সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সকল ছাত্র সংগঠনকে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।