spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসশিক্ষার্থীদের তোপের মুখে রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষের ফি কমানোর আশ্বাস

শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষের ফি কমানোর আশ্বাস

মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম, রাজশাহী কলেজ প্রতিনিধিঃ রাজশাহী কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফরম পূরণের ফি অন্যান্য সরকারি কলেজের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি নির্ধারণ করায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মু. যহুর আলী। পরে আলোচনার মাধ্যমে তিনি ফি কমানোর আশ্বাস দেন।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকাল ১১টায় রাজশাহী কলেজ প্রশাসন ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা ফরম পূরণের অতিরিক্ত ফি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রাজশাহী কলেজ অন্যান্য সরকারি কলেজের তুলনায় অতিরিক্ত ফি আদায় করছে। এ বিষয়ে বারবার দাবি জানানো হলেও কর্তৃপক্ষ কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি, ফলে তারা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন।

বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা বলেন, “দ্রুত সময়ের মধ্যে কলেজ প্রশাসন সিদ্ধান্ত না নিলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।” বিক্ষোভ শেষে তারা অধ্যক্ষের কার্যালয়ে গিয়ে স্লোগান দেন এবং ফি নির্ধারণের যৌক্তিকতা জানতে চান। শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল, কোন খাতে কত টাকা খরচ হচ্ছে, তা স্বচ্ছভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে।

এ সময় অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নিয়ে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিলে, তারা সবাই মিলে আলোচনা করার দাবি জানান। পরে শিক্ষক মিলনায়তনে অধ্যক্ষ ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন।

আলোচনায় রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক খালিদ বিন ওয়ালিদ আবির, ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুনঃ ইবিতে ১৭০০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে শিবিরের গণ-ইফতার

উল্লেখ্য, রাজশাহী কলেজ প্রশাসন ৩ মার্চ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি দেয়। পরে ৪ মার্চ প্রকাশিত আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়ভিত্তিক ফি নির্ধারণ করা হয়, যেখানে প্রায় সব বিষয়ে ৭,৫৯১ থেকে ৯,১৭১ টাকা পর্যন্ত ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে, রংপুরের কারমাইকেল কলেজে একই ফরম পূরণের জন্য ৪,২৭৫ থেকে ৪,৭৫০ টাকা এবং রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজে ১,৮০০ থেকে ২,০০০ টাকা কম নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রতিবাদ জানান।