তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গত ১৫ বছরে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর নির্দেশে গঠিত এ কমিটি সংশ্লিষ্ট সময়ের যাবতীয় নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে অনুসন্ধান চালাবে এবং দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষকতাকারীদের চিহ্নিত করবে।
রোববার (১৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।
গঠিত কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান। সদস্য সচিব হিসেবে থাকছেন শরীর চর্চা ও শিক্ষা বিভাগের উপ-রেজিস্ট্রার মাছুদুল হক তালুকদার। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান ও ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী।
অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৯ মার্চ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগে সংঘটিত অনিয়ম ও দুর্নীতির অনুসন্ধান করবে এই কমিটি। ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ চেক জালিয়াতি মামলায় শিক্ষিকাকে হয়রানি ও মানহানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান বলেন, "আমরা চিঠি হাতে পেয়েছি এবং তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। অনিয়ম সংক্রান্ত তথ্য জমা দেওয়ার জন্য একটি নোটিশ জারি করা হবে। অনলাইনে ও অফলাইনে তথ্য জমা দেওয়ার সুযোগ থাকবে। তদন্তের সঠিকতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।"