
তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) কর্মরত সাংবাদিক, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, শাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইবি থানার কর্মকর্তা ও নিরাপত্তাকর্মীদের নিয়ে এক বিশেষ ইফতার আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার (২২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্র উপদেষ্টার উদ্যোগে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ার লক্ষ্যে এই আয়োজন করা হয়।
ইফতার আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, সহকারী প্রক্টরসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও অন্যান্য অংশীজনরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্র সংগঠনের নেতারা পারস্পরিক সৌহার্দ্য বজায় রাখার আহ্বান জানান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, “পবিত্র রমজান আত্মশুদ্ধি ও সংযমের মাস। এটি মানুষকে ন্যায়পরায়ণ হতে সাহায্য করে ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার অনুপ্রেরণা দেয়। এই ইফতার আয়োজনের মূল লক্ষ্য পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রেখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে বৈষম্যহীন, মাদকমুক্ত ও বহিরাগত মুক্ত রাখার প্রচেষ্টা।”
ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “তোমরা পারস্পরিক ঐক্য বজায় রেখে কাজ করলে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও সমৃদ্ধ করতে পারবে।”
আরও পড়ুনঃ রাজশাহীতে ইলেকট্রিক বাইক আনল রিভো বাংলাদেশ
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “সব ছাত্র সংগঠন একসঙ্গে ইফতার করছে—এমন দৃশ্য আমার চাকরি জীবনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে দেখিনি। এটি যদি অব্যাহত রাখা যায়, তাহলে ইবি বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য রোল মডেল হয়ে উঠবে।”
ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “শিক্ষার্থীদের মতাদর্শ ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশ গড়ার ক্ষেত্রে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। রমজান মাস ধৈর্য, সহমর্মিতা ও পরস্পরের দুঃখ-দুর্দশা অনুভব করার শিক্ষা দেয়। এই আয়োজনের উদ্দেশ্যই হলো—বরকতময় এই মাসে আমরা যেন এক হৃদয়ে মিশে যেতে পারি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উদ্যোগ অংশীজনদের মধ্যে সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন আরও সুদৃঢ় করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।