
ইয়াছিন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের কাছে ঈদে বাড়ি ফেরা এক অন্যরকম আনন্দের উপলক্ষ। দীর্ঘদিন পর পরিবার, প্রিয়জনদের কাছে ফেরার সুযোগ যেন ঈদের আগেই আরেকটি ঈদ নিয়ে আসে।
শিক্ষার্থীরা সারাবছর ক্লাস, পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট ও নানা একাডেমিক ব্যস্ততায় কাটান। তবে ঈদ এলে ব্যস্ততার সব গ্লানি ভুলে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠেন তারা। টিকিটের ভোগান্তি, যানজটের দীর্ঘ অপেক্ষা—সবই মেনে নেন, কারণ ঘরে ফেরার আনন্দই মুখ্য। এবারের ঈদে বাড়ি ফেরা নিয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনুভূতি তুলে ধরা হলো।
মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী সিয়াম বলেন, “যেদিন আমার ভার্সিটি বন্ধ হলো, সেদিন সন্ধ্যায় ইফতারের পর রুমে বসেছিলাম। পরদিন সকালে বাড়ি যাবো—এই চিন্তা আমাকে ভীষণ আনন্দিত করছিল। ছোটবেলায় চাঁদ রাতের আনন্দ যেমন লাগতো, সেদিন ঠিক তেমনই অনুভূতি হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, রোজা শেষ, কাল ঈদ। এটা সত্যিই দারুণ অনুভূতি।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নাদিরা বলেন, “নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার সময় যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন, তা চোখে পড়ার মতো। দীর্ঘদিন পর পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটানোর আনন্দটাই আলাদা। পড়াশোনার চাপ ভুলে সবাই একসঙ্গে উৎসবে মেতে উঠি। যখন শিক্ষার্থীরা বাস, ট্রেন বা গাড়িতে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন, তখন পুরো ক্যাম্পাসে এক উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।”
আরও পড়ুনঃ ১০ম থেকে ৯ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের স্মারকলিপি
মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী নাজিম বলেন, “ঈদ মানেই খুশি, ঈদ মানেই আনন্দ। এক মাস আগেই প্রহর গুনতে থাকি, কবে ফিরব চিরচেনা আঙিনায়। যখন ২০ রমজান ঈদের ছুটি পেলাম, মনে হলো ঘণ্টায় ৩৬০ কিলোমিটার বেগে শীতল বাতাস বইছে হৃদয়ে! তখন থেকেই ব্যাগ গোছানো শুরু, যদিও শরীর ক্যাম্পাসে, কিন্তু মন চলে যায় বাড়িতে। পরিবারের সান্নিধ্যে ফেরার আকাঙ্ক্ষা কতটা তীব্র হতে পারে, সেটা ঈদের সময়ই বোঝা যায়। বাড়ি ফেরার সময় প্রতিটি মুহূর্ত হৃদয়ে স্পন্দন তোলে, জানিয়ে দেয়—এই তো, প্রিয়জনদের কাছাকাছি চলে এসেছি। ঈদে বাড়ি ফেরার আনন্দ সত্যিই অনন্য।”
শিক্ষার্থীদের জন্য ঈদ শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি পরিবার ও আপনজনদের সান্নিধ্যে ফেরার এক আবেগময় অধ্যায়। বাড়ি ফেরার প্রতিটি মুহূর্ত তাদের হৃদয়ে এক অনন্য স্মৃতি হয়ে থাকে।