spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ইবি ছাত্রশিবিরের মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে অর্ধশতাধিক ইবিয়ানের মিলনমেলা

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) হৃদয়গ্রাহী এক মিলনমেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা।ঈদের...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাস"আমার হৃদয় গাজার সঙ্গে"—যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার প্রত্যাখ্যান ইবি শিক্ষার্থী জাকিরের

“আমার হৃদয় গাজার সঙ্গে”—যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার প্রত্যাখ্যান ইবি শিক্ষার্থী জাকিরের

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্ডহ্যাম ইউনিভার্সিটির ভর্তি অফার প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী জাকির হোসেন। তিনি ইনফরমেশন অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইটিএন্ডটি) বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী।

সোমবার (৭ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক আবেগঘন স্ট্যাটাসে তিনি জানান, ফোর্ডহ্যাম ইউনিভার্সিটির গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের সাইবার সিকিউরিটি প্রোগ্রামে এম.এস. কোর্সে তার ভর্তি নিশ্চিত হয়েছিল। তবে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন ও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতামূলক ভূমিকার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি সেই অফার গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেন।

জাকির ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “সম্ভবত আমার একাডেমিক যাত্রার সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তগুলোর একটি নিয়েছি। আমি সম্মানিত বোধ করেছি ফোর্ডহ্যাম ইউনিভার্সিটির সাইবার সিকিউরিটি প্রোগ্রামে এম.এস. এর জন্য ভর্তি অফার পেয়ে। কিন্তু গভীর চিন্তাভাবনার পর এবং গাজায় চলমান মানবিক সংকটের প্রেক্ষাপটে, আমি সেই অফারটি বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছি ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশের জন্য। আমি বিশ্বাস করি, এমন সময়ে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তগুলো বিবেক ও ন্যায়ের শক্তিশালী বার্তা বহন করতে পারে। আমার হৃদয় গাজার সঙ্গে।”

আরও পড়ুনঃ “গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা” কর্মসূচিতে সংহতি, রাজশাহী কলেজে ধর্মঘট ও মানববন্ধন

জাকির হোসেন সাইবার সিকিউরিটি অঙ্গনে নিজেকে ইতোমধ্যে উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের একটি সাইবার প্রতিযোগিতায় পঞ্চম স্থান লাভ করেন। পাশাপাশি ২০২২ সালের ইন্টার-ইউনিভার্সিটি সাইবার ড্রিলে তার দল দ্বিতীয় রানারআপ হয়।

ফিলিস্তিনের সংকটময় মুহূর্তে তার এই সিদ্ধান্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে প্রশংসার জোয়ার বইয়ে দিয়েছে। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, এটি শুধু এক শিক্ষার্থীর সাহসী পদক্ষেপ নয়, বরং মানবতার পক্ষে দৃঢ় অবস্থানের প্রতীক।