
তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) প্রযুক্তিনির্ভর এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে, এক কার্ডেই মিলবে সব সেবা। শিক্ষার্থীদের সকল প্রকার সেবা একত্রে পেতে এবার থেকে স্মার্ট আইডি কার্ড চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালকের কক্ষে অনুষ্ঠিত স্মার্ট আইডি কার্ড প্রস্তুত কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শাহজাহান আলী।
প্রথম পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। ভবিষ্যতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্যও এই সুবিধা চালু করা হবে।
উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলাম ও কমিটির সদস্য-সচিব এবং নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ আব্দুস সাকির মল্লিকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভায় সিস্টেম এনালিস্ট ড. নাঈম মোরশেদ প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন, যেখানে স্মার্ট কার্ড প্রযুক্তির টেকনিক্যাল দিক ও ব্যবহারিক প্রয়োগের বিষয়গুলো বিশদভাবে তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি লাইব্রেরিতে বর্তমান অটোমেশন ব্যবস্থার উপর একটি ডেমো উপস্থাপন করেন হাফিজুর রহমান।
কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শাহজাহান আলী জানান, আরএফআইডি প্রযুক্তি সম্বলিত স্মার্ট আইডি কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এক কার্ডেই বিভাগ, হল, লাইব্রেরি, মেডিকেল সেন্টারসহ সব সেবা গ্রহণ করতে পারবে। প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য থাকবে একটি ইউনিক আইডি নাম্বার। ভবিষ্যতে এই কার্ডকে ব্যবহার করে ক্যাশলেস পেমেন্ট সিস্টেমের সঙ্গেও যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ইলিশের দাম শুনেই পিঠ ফেরাচ্ছেন ক্রেতারা
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ কমিটির সদস্যদের দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ প্রদান করেন এবং বলেন, “প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে আধুনিক ও স্মার্ট ক্যাম্পাসে রূপান্তর করতে হলে এই ধরনের উদ্যোগ সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয়।”
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশাবাদী, এই কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও শিক্ষাসেবার গুণগত মানে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে।