spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ইবি ছাত্রশিবিরের মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে অর্ধশতাধিক ইবিয়ানের মিলনমেলা

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) হৃদয়গ্রাহী এক মিলনমেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা।ঈদের...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসরাসূল(সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি: ইবির কর্মকর্তার বহিষ্কারের দাবি শিক্ষার্থীদের

রাসূল(সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি: ইবির কর্মকর্তার বহিষ্কারের দাবি শিক্ষার্থীদের

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ রাসূল মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি করার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় তারা অভিযুক্ত কর্মকর্তার বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন।

অভিযুক্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত। তিনি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ভুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাসূল (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি করায় মোজাম্মেল হককে স্থানীয় জনতা গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে পুলিশ তাকে আটক করে মৌখিক মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমএ রউফ খান।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিভাগের ওই কর্মকর্তার নেমপ্লেট ভেঙে প্রতিবাদ জানান এবং বিভাগীয় সভাপতির নিকট তার বহিষ্কারের দাবিতে লিখিত আবেদন করেন।

আবেদনে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, মোজাম্মেল হক রাসূল (সাঃ) কে ‘নারীলোভী’ বলে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন, যার যথাযথ প্রমাণ রয়েছে। তারা অভিযোগ করেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইসলাম এবং নবী-রাসূলদের নিয়ে কটুক্তি করে আসছিলেন এবং পূর্বেও নানা আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। তাই তাকে দ্রুত বিভাগ থেকে বহিষ্কার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।

আরও পড়ুনঃ সখীপুরে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে রাজমিস্ত্রী গ্রেফতার

বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, “শিক্ষার্থীরা লিখিতভাবে অভিযোগ করেছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে ইতোমধ্যে অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলামকে প্রধান করে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত শেষে আমরা প্রশাসনের কাছে সুপারিশ করবো।”

ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্বেগ ও আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।