তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মোজাম্মেল হকের বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় প্রশাসন ভবনের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, “মহান আল্লাহ নিজেই রাসূল (সা.)-এর চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়েছেন। তিনি সমগ্র মানবজাতির জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরিত। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি পবিত্র বিদ্যাপীঠে এমন একজন মহামানব সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য অত্যন্ত নিন্দনীয় ও লজ্জাজনক। এরকম আচরণ কোনোভাবেই বরদাস্তযোগ্য নয়।”
তারা আরও বলেন, “কোনো তদন্ত কমিটির নামে সময়ক্ষেপণ নয়—দ্রুত মোজাম্মেল হককে বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ইসলাম ও রাসূল (সা.) সম্পর্কে অবমাননাকারীদের জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো জায়গা হতে পারে না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, এই ব্যক্তিকে স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অপসারণ করতে হবে।”
আল হাদিস বিভাগের শিক্ষার্থী জুনায়েদ আহমেদ বলেন, “এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, আল হাদিস বিভাগে, যেখানে রাসূল (সা.)-এর জীবন ও শিক্ষার চর্চা হয়, সেখানে এমন একজন ব্যক্তি সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, যিনি তাঁর সম্পর্কে কটূক্তি করেছেন। এতে শুধু ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও হৃদয়ে গভীর আঘাত লেগেছে।”
তিনি আরও বলেন, “রাসূল (সা.)-এর অবমাননার বিষয়ে ইসলামী শরিয়তের কঠোর বিধান রয়েছে। তবে আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রতিবাদ করছি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি।”
আরও পড়ুনঃ কুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে অনশনে ইবি শিক্ষার্থীরা
মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন, যেখানে মোজাম্মেল হকের স্থায়ী বহিষ্কার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়।
জানা গেছে, মোজাম্মেল হক ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ভুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয়দের অভিযোগ, তিনি দীর্ঘদিন ধরে নবী-রাসূলদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করে আসছিলেন। সম্প্রতি গ্রামবাসী তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরে পুলিশ মৌখিক মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভাগীয়ভাবে তার শাস্তি দাবি করলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবি—তদন্ত নয়, এখন প্রয়োজন দ্রুত ও কার্যকর বিচার।