spot_img

― Advertisement ―

spot_img

খুবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, মেডিকেল সেন্টারে নেই মনোবিশেষজ্ঞ

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২তম ব্যাচের ছাত্র তৌকির আহমেদ আবিদ আজ সকালে নিজ কক্ষে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছেন। ইসলাম নগর রোডের...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসময়ূর নদী মশার ‘উৎপাদন কারখানা’, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেঙ্গু আতঙ্ক

ময়ূর নদী মশার ‘উৎপাদন কারখানা’, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেঙ্গু আতঙ্ক

কে এম হাবিবুল্লাহ সাকিব, খুলনা প্রতিনিধিঃ “সন্ধ্যা হইতে না হইতে একঝাক মশা আসে মাথার উপরে আবার হলরোডে বসলেও মশার জ্বালায় হাত বুলাতে হয় সারা গায়ে” বলছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহবুবুর রহমান আকাশ। সামনে বর্ষার মৌসুমে ডেঙ্গু জ্বরের ভয় বিরাজমান খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাজুড়ে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের পরিবেশ নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে ময়ূর নদী। এই নদীকে মশা উৎপাদনের ‘কারখানা’ হিসেবেই দেখছেন এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ডোবা ও পরিত্যক্ত পুকুরগুলো দীর্ঘদিন ধরে অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় পড়ে আছে। এগুলো খুলনা সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন হলেও পরিচর্যার অভাবে মশার বংশবিস্তারে অবাধ সুযোগ তৈরি হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক মোহাম্মদ সাকি বলেন, “মশা নিধনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ ও পুকুরগুলো সর্বদা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের জায়গাগুলো আমাদের আওতার বাইরে। আমি মানছি, ময়ূর নদী এখন এই অঞ্চলের জন্য মশা উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে এবং এ বিষয়ে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের কার্যকর তৎপরতা দরকার।”

আরও পড়ুনঃ বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান

প্রথম আলোর ২০২৪ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ডেঙ্গু জ্বরে সেবছর দেশে ৫৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ভয়াবহ স্মৃতি এখনও তরতাজা, আর ২০২৫ সালেও সে আতঙ্ক যেন নতুন করে ঘনিয়ে আসছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে। শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, সময়মতো কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব রোধ করা কঠিন হয়ে উঠবে।

সেই সঙ্গে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের কাছ থেকে আরও বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা এবং মশক নিধনে নিয়মিত ও বিস্তৃত কার্যক্রম চালানোর দাবি জানিয়েছেন তারা। ছাত্র-ছাত্রীদের একটাই প্রত্যাশা—ময়ূর নদী ও আশপাশের জলাশয়গুলোতে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে মশার উপদ্রব কমিয়ে আনা হোক, ডেঙ্গুর আশঙ্কা যেন আর বাস্তবে রূপ না নেয়।