spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসববিতে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারসহ ৪ দফা দাবিতে মশাল মিছিল ও সড়ক...

ববিতে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারসহ ৪ দফা দাবিতে মশাল মিছিল ও সড়ক অবরোধ

ডালিয়া হালদার, ববি প্রতিনিধিঃ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘হয়রানিমূলক’ মামলা প্রত্যাহারসহ ৪ দফা দাবিতে মশাল মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে ফ্যাসিবাদবিরোধী মঞ্চের ব্যানারে এই কর্মসূচি শুরু হয়ে রাত ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলে। এ সময় ভোলা রোড সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে প্রতীকী অবরোধের ফলে অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি পরিবহন ছাড়া সকল যান চলাচল বন্ধ থাকে, এতে দুর্ভোগে পড়েন পথচারীরা।

গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে শুরু হওয়া মশাল মিছিল পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভোলা রোডে গিয়ে সড়ক অবরোধের মাধ্যমে শেষ হয়। সাধারণ ডায়েরিতে নাম থাকা শিক্ষার্থীরা দড়ি বেঁধে অংশগ্রহণ করেন এই প্রতিবাদ মিছিলে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ‘জুলাই বিপ্লব’–পরবর্তী নতুন প্রশাসনের কাছ থেকে তারা একটি গণতান্ত্রিক ও স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনার প্রত্যাশা করলেও বাস্তবে তা হয়নি। বরং আন্দোলনের জেরে শিক্ষার্থীদের নামে ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ মামলা দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে।

সাধারণ ডায়েরিতে দ্বিতীয় নাম থাকা নাজমুল ঢালী বলেন, “আমরা যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামলে আমাদের নামে ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। তাই আজ চার দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা রাস্তায় নেমেছি। যতদিন দাবি পূরণ না হবে, ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে।”

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কেউ কেউ এখনো ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। আমরা তাদের ছাড় দিতে রাজি নই। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি মানতে ব্যর্থ উপাচার্য বারবার মামলা দিয়ে তাদের দমন করার চেষ্টা করছেন, যা ইতিহাসে বিরল।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।

শিক্ষার্থীদের ৪ দফা দাবি হলো:
১. ড. মোঃ মুহসিন উদ্দিন স্যারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার – জুলাই বিপ্লবের সহযোদ্ধা ও সম্মানিত শিক্ষক মুহসিন স্যারের বিরুদ্ধে আনা ‘মিথ্যা ও অপমানজনক’ অভিযোগ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে এবং পূর্বের দায়িত্বে পুনর্বহাল করতে হবে।

২. রেজিস্ট্রার মোঃ মনিরুল ইসলামের অপসারণ – নারী কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত, মেয়াদোত্তীর্ণ এবং অবৈধভাবে বহাল থাকা আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুল ইসলামকে রেজিস্ট্রার পদ থেকে তাৎক্ষণিক অপসারণের দাবি জানানো হয়।

আরও পড়ুনঃ আশুলিয়ায় র‍্যাবের গোপন অভিযানে বিদেশি অস্ত্রসহ কুখ্যাত সন্ত্রাসী মাসুদ আটক

৩. ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের সমর্থকদের অপসারণ – জুলাই গণহত্যার সমর্থক, চাটুকার শিক্ষক-কর্মচারীদের সকল প্রশাসনিক ও লাভজনক কমিটি থেকে অপসারণ নিশ্চিত করার দাবি তোলা হয়।

৪. উপাচার্যের প্রকাশ্য ক্ষমা প্রার্থনা – দায়িত্ব গ্রহণের পর দৃশ্যমান উন্নয়ন না করে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ও আওয়ামী ‘ফ্যাসিবাদীদের’ পুনর্বাসনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার দায়ে উপাচার্যের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়।

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে এবং বুধবার সকালেও পূণরায় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। পরিস্থিতি ঘিরে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।