
তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মোজাম্মেল হককে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং এ সংক্রান্ত বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ জাতীয় গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হওয়ার ফলে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। পাশাপাশি, তিনি গত ২২ এপ্রিল থেকে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন এবং ২৮ এপ্রিল ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু আমলী আদালতে এ বিষয়ে মামলা দায়ের হয়েছে। এসব কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির ৩(জ)/৩.১৫(খ) ধারা অনুযায়ী তাকে ২২ এপ্রিল থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি বিধি মোতাবেক জীবনধারণ ভাতা পাবেন।
উল্লেখ্য, মোজাম্মেল হক ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ভুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয়দের অভিযোগ, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই নবী-রাসূলদের নিয়ে কটুক্তি করে আসছিলেন। এ নিয়ে স্থানীয় জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে পুলিশ তার কাছ থেকে মৌখিক মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।
আরও পড়ুনঃ ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে প্রতিটি গৌরবময় অর্জনে শ্রমিকজনতার অবদান অনস্বীকার্য’
ঘটনার পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তার শাস্তির দাবিতে বিভাগীয় প্রধান বরাবর অভিযোগ করেন এবং মানববন্ধন, বিক্ষোভসহ ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যান। বিভাগ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করে এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মোজাম্মেল হককে সাময়িকভাবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়।
শিক্ষার্থীদের দাবি, কটুক্তিকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে ভবিষ্যতে এমন অপরাধ পুনরাবৃত্তি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তারা এ ঘটনার দ্রুত নিষ্পত্তি ও স্থায়ীভাবে বহিষ্কারেরও দাবি জানান