
তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ল্যাব বরাদ্দের দাবিতে উপাচার্যের নিকট স্মারকলিপি দিয়েছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৩ মে) বিকেল ৩টায় উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলীর কাছে এ স্মারকলিপি জমা দেন তারা।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বিভাগ খোলার পর থেকে শুরু থেকেই তারা ব্যবহারিক ক্লাস ও পরীক্ষার জন্য অন্য বিভাগের ল্যাব ব্যবহার করে আসছিলেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নতুন বিভাগগুলোর জন্য পৃথক ল্যাব বরাদ্দ না দিয়ে সম্মিলিতভাবে একটি ‘কেন্দ্রীয় ল্যাব’ স্থাপন করে, যেটি প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যান্য বিভাগ ব্যবহার করতে পারত। কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ল্যাবের পরিচালক এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেন, এখন থেকে ল্যাব ব্যবহার করতে হলে অর্থ প্রদান করতে হবে, অন্যথায় ল্যাব ব্যবহার থেকে সাময়িক বা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হবে। হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ ও হতাশ।
এ পরিস্থিতিতে বায়োমেডিকেল বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের নিকট বিভাগের জন্য তিনটি নির্দিষ্ট ল্যাব বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানান—কম্পিউটার ল্যাব (রুম-৩৩৫), বায়ো-ইমেজিং ল্যাব (রুম-৩৩৭) এবং বায়ো ইনস্ট্রুমেন্টেশন ল্যাব (রুম-৩৩৩)।
বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, “আমরা কেন্দ্রীয় ল্যাবে অবস্থানরত বায়োমেডিকেল-সংক্রান্ত ল্যাবগুলো ব্যবহার করে ব্যবহারিক ক্লাস ও পরীক্ষা দিয়েছি। কিন্তু হঠাৎ করে কেন্দ্রীয় ল্যাবের পরিচালকের এই অপ্রাসঙ্গিক সিদ্ধান্ত আমাদের একাডেমিক কার্যক্রমে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আমরা শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রো-ভিসি স্যারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছি। আশা করছি প্রশাসন দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করবে।”
আরও পড়ুনঃ ৭মে শুরু হচ্ছে কুবির আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, “স্মারকলিপিটি পেয়েছি। শিক্ষার্থীরা পূর্বে কেন্দ্রীয় ল্যাব বিনামূল্যে ব্যবহার করত, কিন্তু বর্তমানে ল্যাব পরিচালক পরিচালনা পরিষদের সাথে আলোচনা করে ব্যবহার ফি নির্ধারণ করেছেন। এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী কিংবা বাইরের গবেষক—সকলকে ফি দিয়েই ল্যাব ব্যবহার করতে হবে। শিক্ষার্থীরা এখন কম্পিউটার ল্যাবেও স্বাধীনভাবে প্রবেশ করতে পারছে না বলে জানিয়েছে। আমি স্মারকলিপিটি উপাচার্যের নিকট পৌঁছে দেব।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দ্রুত সিদ্ধান্ত প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা।