spot_img

― Advertisement ―

spot_img

পরিবহন ও জনবল সংকটে ধুঁকছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

ডালিয়া হালদার, ববি প্রতিনিধিঃ তীব্র পরিবহন ও জনবল সংকটে দীর্ঘদিন ধরে ধুঁকছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্থায়ী ৩ রুট ও নতুন যুক্ত...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসববি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি, আলোচনার আহ্বানে সংবাদ সম্মেলন উপাচার্যের

ববি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি, আলোচনার আহ্বানে সংবাদ সম্মেলন উপাচার্যের

ডালিয়া হালদার, ববি প্রতিনিধিঃ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে একদফা আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৪ মে) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।

তাঁরা জানান, উপাচার্য অধ্যাপক ড. শূচিতা শরমিনকে অপসারণ না করা হলে গোটা দক্ষিণবঙ্গ অচল করে দেওয়ার মতো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। সংবাদ সম্মেলন শেষে তারা উপাচার্য বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল বের করে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন।

অন্যদিকে সকাল সাড়ে ১১টায় উপাচার্য তাঁর বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান।

শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলনে অর্থনীতি বিভাগের ভূমিকা সরকার, লোকপ্রশাসনের মোকাব্বেল শেখ, আইনের শহিদুল ইসলাম শাহেদ, মাইনুল ইসলাম, এসএম ওয়াহিদুর রহমান, ইতিহাস বিভাগের মোশাররফ হোসেন, সাংবাদিকতা বিভাগের নাজমুল ঢালী, রসায়নের হাসিবুর রহমান হাসিব, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের মাসুম বিল্লাহ এবং বাংলার আশিকুর রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

তাঁরা অভিযোগ করেন, উপাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে যাদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী আচরণের অভিযোগ রয়েছে, তাদেরকেই পক্ষপাতমূলকভাবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে। যৌক্তিক দাবি বারবার জানালেও উপাচার্য তা আমলে নেননি বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আগেও তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে ২২ দফা দাবি উপস্থাপন করেছিলেন। যদিও উপাচার্য এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলেও ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। বিশেষ করে গত জুলাই মাসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচার হয়নি, বরং শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেই মামলা করা হয়েছে।

তারা আরও অভিযোগ করেন, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ক্যান্সার আক্রান্ত এক শিক্ষার্থীর চিকিৎসা সহায়তার আবেদন দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে উপাচার্যের স্বাক্ষরের অপেক্ষায় পড়ে রয়েছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানে একজন স্বৈরাচারী উপাচার্যের কোনো জায়গা নেই উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, শূচিতা শরমিনকে অবিলম্বে অপসারণ না করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়সহ গোটা দক্ষিণাঞ্চল অচল করে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুনঃ মেঘনায় মাছ শিকারের প্রস্তুতি, নদীতে নামছেন ৫২ হাজার জেলে

মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুজয় শুভ বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও প্রশাসন বা রাষ্ট্র সেই অবদানের মূল্যায়ন করেনি। চলমান ১৮ দিনের আন্দোলনেও উপাচার্য আলোচনায় আসেননি।”

উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ নভেম্বরও একই দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছিলেন। পরে উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে এক মাসের সময় বেঁধে আন্দোলন স্থগিত করা হয়। তবে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি উপাচার্যের বাসভবনের গেট ভাঙচুরের অভিযোগে ৪২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হয়, যার প্রধান সাক্ষী ছিলেন উপাচার্য নিজেই। ওই ঘটনার জেরে অধ্যাপক ড. মো. মুহসিন উদ্দীনকে ‘পতিত সরকারের দোসর’ আখ্যা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য পদ থেকে ১৩ এপ্রিল অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এইসব ঘটনার পর থেকে পুরো ক্যাম্পাসে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।