তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
রোববার (৪ মে) সন্ধ্যায় এ হামলার প্রতিবাদে রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জিয়া মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ঝালচত্বর এসে শেষ হয় এবং সেখানে অনুষ্ঠিত হয় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ।
সমাবেশে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, গোলাম রব্বানী, তানভীর মন্ডল ও সাজ্জাতুল্লাহ শেখ। এছাড়াও জাস্টিস ফর জুলাইয়ের আহ্বায়ক নাহিদ হাসানসহ প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী মিছিলে অংশ নেন।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা “আমার ভাই আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই”, “আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ”, “জ্বলো রে জ্বলো, আগুন জ্বলো”, “ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো-মোর”, “আমাদের সংগ্রাম চলছেই চলবে”, “বাশের লাঠি তৈরি কর, আওয়ামী লীগ বিদায় কর”, “হৈ-হৈ রৈ-রৈ, আওয়ামী লীগ গেলি কই”—এমন নানা স্লোগানে ক্যাম্পাস মুখরিত করে তোলে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের ফলেই ইন্টেরিম সরকারের সৃষ্টি হয়েছে এবং এর প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা এবং গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করা। বক্তারা প্রশ্ন তোলেন, ইন্টেরিম সরকার যদি এ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি তারা সতর্ক করেন যে, আজ যদি হাসনাতের উপর হামলার প্রতিবাদ না করা হয়, আগামীতে যে কেউ একই ঘটনার শিকার হতে পারে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “আমরা প্রথমেই জুলাই আন্দোলনের কান্ডারী হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। ইন্টেরিম সরকার দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিচার হচ্ছে না। যখন আমরা আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের দাবি করছি, তখন কিছু রাজনৈতিক দল এই দাবি থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে—যা অত্যন্ত দুঃখজনক।”
আরও পড়ুনঃ হাটহাজারী সাংগঠনিক জেলা ছাত্র জমিয়তের যুগ্ম সম্পাদক হলেন দুর্গাপুরের হাফেজ শামীম চৌধুরী
তিনি আরও বলেন, “স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ যে গণহত্যা চালিয়েছে, তার বিচার হতেই হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে এই দাবি বাস্তবায়ন করবে।” এছাড়া সম্প্রতি ইবিতে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের বিরুদ্ধে দেওয়া এক বিবৃতিরও তীব্র প্রতিবাদ জানান তিনি।
বক্তারা একসুরে বলেন, দেশের সব জায়গা থেকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে বিতাড়িত করতে হবে এবং সকলের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টাতেই এ দলকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব।