
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২তম ব্যাচের ছাত্র তৌকির আহমেদ আবিদ আজ সকালে নিজ কক্ষে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছেন। ইসলাম নগর রোডের হলরোড এলাকার শাহ শিরিন সড়কে ভাড়া বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি—যা বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে শোকের ছায়া ফেলেছে।
আবিদের বন্ধুদের বরাতে জানা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক কষ্টে ভুগছিলেন এবং মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এ থেকে মুক্তি পেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক ডা. মুশফিকুর রহমানের কাছ থেকে চিকিৎসাও নিচ্ছিলেন। তবে ঈদের পর চিকিৎসকের বদলির কারণে তার চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যায়, আর সেই সময়ের মধ্যেই জীবনে নানা চাপ ও সমস্যা জেঁকে বসে। আজ সকালে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার দিন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক কর্মসূচি চলছিল। হঠাৎ তার ব্যাচের গ্রুপে একটি বার্তা ছড়িয়ে পড়ে—“আবিদ সুইসাইড করেছে।” মূহূর্তেই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক ও কান্না। অনেকেই ক্লাস ছেড়ে ছুটে যান হলরোডের ওই বাসায়। সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পান, তাদের বন্ধু আবিদ আর নেই। ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় আবিদকে দেখে সবাই স্তব্ধ হয়ে যান, কান্নায় ভেঙে পড়েন বন্ধুবান্ধব ও সহপাঠীরা।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে হবে দেশের সবচেয়ে বড় ক্যান্সার হাসপাতাল : আমীর খসরু
এ বিষয়ে হরিণটানা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ খায়রুল বাসার জানান, “আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সঙ্গে রয়েছে।” এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সিন্ডিকেট বডির পক্ষ থেকে এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
আবিদের মৃত্যু আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, আমাদের সমাজে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য, মাদকাসক্তি এবং পরিপূর্ণ চিকিৎসা ব্যবস্থার সংকট কতটা গভীর। সময় এসেছে, এসব সমস্যাকে আর উপেক্ষা না করে সম্মিলিতভাবে সমাধানের পথে এগিয়ে যাওয়ার