spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসছাত্রলীগ কর্মীকে আটকের পর পুলিশের হাতে তুলে দিল ছাত্রদল-ছাত্রশিবির

ছাত্রলীগ কর্মীকে আটকের পর পুলিশের হাতে তুলে দিল ছাত্রদল-ছাত্রশিবির

মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম, রাজশাহী কলেজ প্রতিনিধিঃ রাজশাহী কলেজে ক্লাস করতে এসে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে রাজশাহী কলেজ ক্যাম্পাস থেকে সাগর রেজা (২২) নামের ওই শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। তিনি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থানার উদয় সাগর গ্রামের মো. আলমগীরের ছেলে।

জানা গেছে, কলেজে ক্লাস করতে এলে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের কর্মীরা তাকে শনাক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ঘেঁটে ফেসবুক প্রোফাইল থেকে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার বিভিন্ন প্রমাণ পাওয়া যায়। ফেসবুক প্রোফাইলে দেখা যায়, তিনি রহনপুর পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি লীগ চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ একাধিক সংগঠনের পদে রয়েছেন। এছাড়াও, ছাত্রলীগের মিছিলে তার সক্রিয় অংশগ্রহণের ছবিও পাওয়া গেছে।

রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক খালিদ বিন ওয়ালিদ (আবির) বলেন, “নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য হিসেবে সে সন্দেহজনকভাবে বেশ কিছুদিন কলেজে ঘোরাঘুরি করছিল। আজ তার সহপাঠীরা আমাদের জানায় এবং আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাই। এরপর আমরা তাকে পুলিশে সোপর্দ করি।”

ছাত্রশিবির রাজশাহী কলেজ শাখার সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, “সে সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি রাসিক দত্ত ও আশিকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। কলেজ ছাত্রাবাসে সে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বারবার নির্যাতন চালাতো। আমরা তাকে চিনে ফেলায়, এবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তুলে দিয়েছি।”

আরও পড়ুনঃ আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ জানান, “আটককৃতকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখনো থানায় পৌঁছায়নি। পূর্বের একটি মামলার আওতায় তাকে চালান দেওয়া হতে পারে। বিস্তারিত যাচাই করা হবে।”

এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ এটিকে নিরাপত্তার পদক্ষেপ বললেও, অনেকে বিষয়টিকে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবেও দেখছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।