
তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ শ্রুতি লেখকের সহায়তায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কেন্দ্রে দ্বিতীয়বারের মতো ভর্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন কুষ্টিয়ার কুমারখালীর দক্ষিণ ভবনিপুরের আদনান উজ-জামান। তার পাশে শ্রুতি লেখক হিসেবে ছিলেন তারই ছোট বোন, ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী আতিকা জিনাত।
জন্মের পর অন্য দশজন স্বাভাবিক শিশুর মতো বেড়ে উঠলেও দেড় বছর বয়সে হঠাৎ করেই হাঁটতে না পারার সমস্যায় পড়েন আদনান। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হলেও সময়ের সঙ্গে শারীরিক সমস্যা আরও জটিল আকার ধারণ করে। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলমান। তবে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কখনোই আদনানকে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহে থামাতে পারেনি।
প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন কুষ্টিয়া হাউজিং এলাকার সবুজ কানন প্রিপারেটরি স্কুল থেকে। এরপর কুষ্টিয়ার আড়ুয়াপাড়া দিনমনি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ৪.৫৬ জিপিএ এবং কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০২৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে ৪.০৮ জিপিএ অর্জন করেন।
ভর্তি পরীক্ষায় তিনি অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের ৪২০ নম্বর কক্ষে। তার রোল নম্বর ছিল ১০৬৯১৪।
আদনান বলেন, “ইবিতে কোনো সাবজেক্টে পড়ার সুযোগ পেলে খুব ভালো লাগবে। পরীক্ষা ভালো হয়েছে। এখানে অনার্স শেষ করে আমি ঢাবি থেকে মাস্টার্স করতে চাই।”
আরও পড়ুনঃ কুবিতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
আদনানের বাবা আজগর আলী জানান, “আদনান ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় খুব আগ্রহী। তাকে কখনো পড়তে বলতে হয়নি। এমনকি আজকের পরীক্ষার দিনও তাকে পড়ার টেবিল থেকে ডেকে আনতে হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আদনানের মতো বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা একটু সহানুভূতি ও অনুপ্রেরণা পেলেই অনেক দূর যেতে পারে। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাতে এ ধরনের শিক্ষার্থীদের জন্য আরও সহায়তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”