spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসদায়িত্ব পালন শেষে সম্মানের সহিত ফুল গ্রহণ করতে চাই—ববি’র নবনিযুক্ত উপাচার্য

দায়িত্ব পালন শেষে সম্মানের সহিত ফুল গ্রহণ করতে চাই—ববি’র নবনিযুক্ত উপাচার্য

ডালিয়া হালদার, ববি প্রতিনিধিঃ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. তৌফিক আলম দায়িত্বগ্রহণের পর শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “দায়িত্ব পালন শেষে আমি চাই সম্মানের সহিত ফুল গ্রহণ করে বিদায় নিতে।”

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুর ২টা ১০ মিনিটে উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ শেষে উপাচার্য ভবনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ বক্তব্য দেন।

ড. তৌফিক আলম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ যেন শিক্ষার জন্য উপযোগী থাকে, সেই প্রচেষ্টা থাকবে আমার সর্বোচ্চ। আমি বাইরে থেকে এসেছি, তাই এখানকার বাস্তব সমস্যাগুলো বুঝে নিতে চাই। প্রতিটি বিভাগের সিআর ও এসিআরসহ শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা করব।” তিনি জানান, তার দরজা সবার জন্য খোলা থাকবে, যেকোনো সময় যে কেউ তার সঙ্গে দেখা করতে পারবেন।

সমস্যা সমাধানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যদি সমস্যাগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করা যায়, তবে সমাধান অবশ্যই সম্ভব। আর যদি সমস্যার সঙ্গে আর্থিক বিষয় জড়িত থাকে, তবে সমাধানে কিছুটা সময় লাগবে।” ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উপাচার্য বলেন, “আমি জানি না এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিবাদের দোসর আছে কিনা, তবে থাকলে তাদের বিষয়ে আমার পক্ষ থেকে জিরো টলারেন্স থাকবে।”

তবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব শেষে সম্মানসূচক বিদায়ের প্রত্যাশা নতুন নয়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিন দায়িত্ব নেওয়ার সময়ও একই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছিলেন, কিন্তু দায়িত্ব পালনকালে নানা ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত তার বিদায় পরিণত হয়েছিল তিক্ততায়—তাকে বিদায় জানাতে ফুলের বদলে মিষ্টি বিতরণ করেছিলেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীরা।

আরও পড়ুনঃ ছাত্রী হেনস্তাকারী ও সমকামিতা প্রমোটকারী শিক্ষকের শাস্তি পর্যালোচনায় মতবিনিময় কাল

সৌজন্য সাক্ষাতে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মোকাব্বেল শেখ বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্ব অঙ্গে ব্যথা। একাডেমিক থেকে প্রশাসনিক প্রতিটি স্তরেই সমস্যা বিরাজমান। অতীতে পাঁচজন উপাচার্যের কেউই এসব সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেননি। আপনিই আমাদের দীর্ঘ আন্দোলনের ফল। আমরা চাই আপনি সফল হোন, কারণ আপনার ব্যর্থতা মানেই আমাদের ব্যর্থতা। আমরা চাই আপনার নেতৃত্বে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় একদিন বিশ্বের অন্যতম একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হোক।”

উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের টানা ২৯ দিনের আন্দোলনের পর গত ১৩ মে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনকে অপসারণ করা হয়। একইসাথে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানি এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মামুন অর রশিদকেও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আন্দোলনের ফসল হিসেবে শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক ড. তৌফিক আলমের কাছে আশাবাদী হয়ে উঠেছে, আর তিনিও দায়িত্বের শুরুতেই দিয়েছেন সহযোগিতাপূর্ণ ও গণমুখী নেতৃত্বের প্রতিশ্রুতি।